Kalsarpa Yog

Kaal Sarpa dosh: কালসর্প দোষ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন এই উপায়ে

জন্মছকে কালসর্প দোষ শুনলেই জ্যোতিষীরা একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু কী এই কালসর্প দোষ? কেনই বা মানুষ এত ভয় পেয়ে যায় কালসর্প দোষের নামে?

Advertisement
শ্রীমতী অপালা
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ০৬:০৮
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

জন্মছকে কালসর্প দোষ শুনলেই জ্যোতিষীরা একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু কী এই কালসর্প দোষ? কেনই বা মানুষ এত ভয় পেয়ে যায় কালসর্প দোষের নামে? কালসর্প দোষ জন্মছকের এমন একটি অবস্থা, যেখানে সাতটি গ্রহ যেমন বৃহস্পতি, রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং শনি সকলেই রাহু এবং কেতুর ছায়ায় ঢাকা পড়ে অর্থাৎ এই সাতটি গ্রহ যখন এক পঙক্তিতে চলে আসে আর তারা ঢাকা পড়ে রাহু ও কেতুর ছায়ায়, তখন সৃষ্টি হয় পূর্ণ কালসর্প দোষ। এ ছাড়া যদি একটি গ্রহ সেই ছায়ার বাইরে থাকে, তা হলে ঘটে আংশিক কালসর্প দোষ। মনে করা হয়, পূর্বজন্মে সর্পহত্যা করলে এই দোষ সৃষ্টি হয়।কালসর্প দোষ যদি কারও জীবনে থাকে, তা হলে সেই ব্যক্তির জীবনে সমস্ত শুভ প্রভাবই নষ্ট হয়ে যায় এবং কোনও কাজেই তিনি সাফল্য পান না, সব কাজেই ব্যর্থ হন। তিনি পারিবারিক ক্ষেত্রেও খুব একটা সুখী হতে পারেন না। তবে এই দোষ কার জীবনে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলবে, তা ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করে। কালসর্প দোষের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায় যদি অনুসরণ করা যায় এই উপায়গুলি।

Advertisement

উপায়—

• বাড়িতে মন্ত্রোচ্চারণের দ্বারা প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে হবে। এবং যাঁর কালসর্প দোষ রয়েছে, তাঁকে প্রতিদিন নিয়ম করে সেই শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ ও গঙ্গাজল অর্পণ করতে হবে।

• ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করতে হবে। এই মন্ত্র দিনে যত বেশি বার সম্ভব পাঠ করতে হবে। তবে, যদি সময়ের অভাব থাকে তা হলে ২৮ বার বা ১০৮ বার করা যেতে পারে।

• যদি সম্ভব হয় বাড়িতে পারদ শিবলিঙ্গ স্থাপন করে পর পর ৪১ দিন কাঁচা দুধ ও গঙ্গাজল সহকারে পুজো করতে হবে। তার পর প্রতি সোমবার করলেই হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement