Migraine Problem

গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলে কি মাইগ্রেনের ব্যথা কমে? কী মত চিকিৎসকের?

জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমবে! এই ধারণার কি কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? কী বলছেন চিকিৎসক?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০৮
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমবে কিসে?

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কতটা কষ্টদায়ক, সেটা যাঁর হয়, তিনিই বোঝেন। মাইগ্রেন সহজে পিছু ছাড়ার নয়। এক বার এই যন্ত্রণা শুরু হলে, কিছুতেই কমতে চায় না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও, তা সাময়িক। শরীর কাহিল হয়ে না পড়া পর্যন্ত যন্ত্রণা হতেই থাকে। মাইগ্রেনের রোগীরা অনেকেই এই ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় খোঁজেন। নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করে মিরো ফিগুরা নামে একজন মহিলা ইনস্টাগ্রামে সাময়িক ভাবে মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায় জানিয়েছেন। মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে পেনকিলার খেতে বারণ করছেন তিনি। কারণ, ব্যথানাশক ওষুধ কিডনি, লিভারের ক্ষতি করে। বদলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে গরমজলে পা ডুবিয়ে বসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবি, এতে ব্যথা কমবে। স্বস্তিও পাওয়া যাবে। মাথা যন্ত্রণা কি সত্যিই জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকলে কমবে? আদৌ এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে?

Advertisement

চিকিৎসক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গরম জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা উধাও হয়ে যাবে, এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে একটু অন্য ভাবে ভাবা যেতে পারে। গরম জলে পা ডোবালে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। রক্ত চলাচলের গতি ঠিক থাকলে মস্তিষ্কেও অক্সিজেন পৌঁছতে পারে সহজে। তাতে ব্যথা-বেদনা খানিকটা কমে। তবে মাইগ্রেনের সঙ্গে জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকার কোনও সরাসরি যোগ নেই। এমন কোনও গবেষণা আছে বলেও আমার জানা নেই।’’

মাইগ্রেন থাকলে ওষুধ খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। পাশাপাশি, জীবনযাপনেও বদল আনতে হবে। জীবনে ঠিক কোন বদলগুলি আনলে মাইগ্রেন দূরে থাকবে, বলে দিলেন চিকিৎসক।

১) সঠিক সময়ে ঘুমোতে হবে। কেউ যদি রোজ রাত ৩টের সময় ঘুমোতে যান আর দুপুর ১২টায় ওঠেন, তা হলে মাইগ্রেন হতে বাধ্য।

২) সারা দিন যন্ত্র থেকে যতটা দূরে থাকা যায়, ততই শ্রেয়। কাজের প্রয়োজনে সব সময় সম্ভব হয় না। কিন্তু, যন্ত্রের ব্যবহার কম করা জরুরি। বিশেষ করে যাঁদের মাইগ্রেন আছে, তাঁদের এই নিয়ম মেনে চলতেই হবে।

৩) বেশি ভাজাভুজি খাওয়া যাবে না। ঘরোয়া খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারও মাইগ্রেনের জন্য ক্ষতিকারক।

৪) শরীরচর্চা করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। পেশিগুলিও সচল থাকে। শুধু মাইগ্রেন বলে নয়, যে কোনও ব্যথা থেকে দূরে থাকা যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন