Text Neck Syndrome

সারা ক্ষণ সমাজমাধ্যমে নজর রাখেন? ‘টেক্সট নেক সিনড্রম’-এর শিকার হতে পারেন যখন-তখন

ইদানীং অধিকাংশ রোগীই পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা কিংবা হাতের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারই এই সমস্যার মূলে। কী ভাবে করবে সমস্যার সমাধান?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫৯
‘টেক্সট নেক সিনড্রম’ কী?

‘টেক্সট নেক সিনড্রম’ কী? ছবি: শাটারস্টক।

ফোনে কথা বলার তুলনায় ‘টেকস্ট’ কিংবা মেসেজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে চোখ বন্ধ করার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ফোনে মুখ গুঁজে খুটখাট, টুকটাক চলতেই থাকে? সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেকেই আছেন যাঁরা দিনের বেশ খানিকটা সময় মোবাইলে চোখ রেখে বসে থাকেন। অফিসে কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কলেজে ক্লাসের মাঝে— একটু মোবাইল না ঘাটলে কি চলে? তবে অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়!

Advertisement

ইদানীং অধিকাংশ রোগীই পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা কিংবা হাতের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারই এই সমস্যার মূলে। দিনের অনেকটা সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হাতের পেশি ও লিগামেন্টের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘ দিন এমনটা হতে থাকলে সেই ব্যথা মেরুদণ্ডের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেরুদণ্ড বেঁকেও যেতে পারে। অনেকেই আবার এই উপসর্গগুলিকে বাতের ব্যথার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন।

পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে কী কী সতর্কতা নিনে হবে?

১) মোবাইলে মেসেজ করার পরিমাণ কমাতে হবে। খুব প্রয়োজন প্রয়োজন হলে ফোনে কথা বলুন।

২) মোবাইল কেনার সময়ে লক্ষ রাখবেন মোবাইলটি যেন খুব ভারী না হয়। ভারী মোবাইল হাতে থাকলে পেশির উপর বেশি চাপ পড়ে। তাই কেনার আগে মোবাইলের ক্যামেরা, মেমরির, স্টোরেজের পাশাপাশি গ্যাজেটের ওজনের দিকেও নজর রাখতে হবে।

৩) একটি মোবাইল স্ট্যান্ড কিনতে পারেন। তার উপর মোবাইটি রেখে ব্যবহার করলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।

অফিসে কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কলেজে ক্লাসের মাঝে— একটু মোবাইল না ঘাটলে কি চলে?

অফিসে কাজের ফাঁকে হোক কিংবা কলেজে ক্লাসের মাঝে— একটু মোবাইল না ঘাটলে কি চলে? ছবি: সংগৃহীত।

৪) ফোন ব্যবহারের সময়ে ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে না তাকিয়ে বরং ঘাড় সোজা রেখে ফোনটা চোখ বরাবর নিয়ে আসুন। এতে মাথা ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়বে।

৫) কয়েকটি ‘ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ়’ করতে পারেন। সর্বোপরি মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশি সচল রাখতে নিয়ম করে কিছু যোগাসন করতেই হবে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে শরীরচর্চা না করে উপায় নেই। যাঁদের ঘাড়, কোমর বা পিঠে খুব ব্যথা, তাঁরা এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা, ফিজিয়োথেরাপি ও আসন শুরু করুন। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না হলে কিন্তু সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন