আমলকি ছবি: সংগৃহীত।
প্রকৃতিতেই রয়েছে সুস্থ থাকার রসদ। তার মধ্যে অন্যতম আমলকি। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই ওয়াকিবহাল। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন সি। অন্যান্য ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে বি১, বি৫ এবং বি৬। আমলকিতে ক্যালশিয়ামও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই প্রতিটি উপাদান ভিতর থেকে যত্ন নেয় শরীরের। ভিটামিন সি থাকায় সর্দিকাশি কমাতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। আয়রন থাকায় ঋতুস্রাবের সময়ও আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে রক্ত বাইরে বেরিয়ে যায়। শরীরে তখন আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয়। এই সময় আমলকি খেলে সেই অভাব খানিকটা পূরণ হয়। তা ছাড়া আমলকিতে ভিটামিন সি-ও আছে। এই ভিটামিন শরীরে আয়রন শোষণেও সাহায্য করে। তবে ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ রক্ত শরীর থেকে বেরোয়, ঠিক ততটা ক্ষতিপূরণ করতে আমলকি পারে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে আমলকি খাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
তবে আমলকির এমন অনেক গুণাগুণ আছে, যা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। আমলকির অন্য উপকারিতাগুলি কী?
মানসিক অবসাদ দূরে রাখে
আমলকি শুধু শরীর নয়, যত্ন নেয় মনেরও। পলিফেনলস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান সমৃদ্ধ আমলকি মানসিক চাপ কমায়। উদ্বেগ, অবসাদের অন্যতম কারণ হল অক্সিডেটিভ হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণ। এই হরমোন ক্ষরণে রাশ টানে আমলকি।
ত্বক এবং চুলের যত্নে
সারা বছরই অনেকের ত্বক প্রচণ্ড আর্দ্র থাকে। সেই সঙ্গে চুল ঝরার পরিমাণও বেড়ে যায়। ত্বক এবং চুলের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে আমলকিতে। রোজকার ডায়েটে আমলকি রাখলে যত্নে থাকে ত্বক। চুলের গোড়া মজবুত করতেও আমলকি খাওয়া জরুরি।
হজমের গোলমাল কমাতে
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজমের সমস্যা ঠেকাতে ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। সারা বছর অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। সেখান থেকেই গ্যাস-অম্বল শুরু হয়। সে সবের ঝুঁকি কমাতে গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে রোজ একটি করে আমলকি খেতে পারেন।