স্তন ক্যানসার সেরে গেলেও ফিরে আসতে পারে। ফাইল চিত্র।
ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে কিছু দিন আগেই খবর বেরিয়েছিল। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তাদের সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে জানা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতি ২০ জন মহিলার মধ্যে অন্তত ১ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছরের হিসেবে ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। স্তন ক্যানসারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রতি বছরে ১১ লাখেরও বেশি।
‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে এই বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানে ভারতে স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা কী ভাবে বাড়ছে, তার পরিসংখ্যান দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। গত পাঁচ বছরের সমীক্ষার হিসেবে তারা জানিয়েছে, চিন ও আমেরিকার পরেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারতের স্থান। এ দেশে প্রতি ২৮ জন মহিলার এক জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন প্রতি বছর। বছরের হিসেবে শহরাঞ্চলে প্রতি ২২ জনের মধ্যে এক জন আক্রান্ত, আর প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতি ৬০ জনের মধ্যে এক জন স্তন ক্যানসারের শিকার।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, স্তন ক্যানসার গোড়ায় ধরা পড়লে চিকিৎসায় তা নির্মূল করা সম্ভব অনেক ক্ষেত্রেই। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার যেমন সেরে যায়, তেমনই সুস্থ হওয়ার পাঁচ-সাত বছর পর তা আবার ফিরেও আসতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘মেটাস্ট্যাটিক ডেভেলপমেন্ট’ বলা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ক্যানসার নিরাময়ের পর প্রথম পাঁচ বছর পর্যন্ত সাধারণত তার ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ক্যানসার ফিরে আসা অনেকটাই নির্ভর করে পারিবারিক ইতিহাসের উপর। তাই ক্যানসার সেরে গেলেও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। সময়ান্তরে পেট সিটি স্ক্যান বা ম্যামোগ্রাফির মতো পরীক্ষা করানোও জরুরি। হঠাৎ যদি স্তনে ব্যথা অনুভব করেন, তা ফেলে না রাখাই ভাল। ক্যানসার ফিরে আসার একটি লক্ষণ এটি। বুক, পিঠ, পাঁজরের হাড়ের ভিতর তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা হতে পারে। স্তনের আকারেও বদল আসতে পারে। তাই সাবধান থাকতেই হবে।