পুজোর আগে আগে অনেকেই দ্রুত রোগা হতে হয়তো সারা দিন জিমেই কাটিয়ে দিলেন। ছবি-সংগৃহীত
দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। ফিট থাকতে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— অনেকেই তা মেনেও চলেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শারীরিক কসরত করাটা সত্যিই জরুরি। অনেকে দীর্ঘ ক্ষণ শরীরচর্চাও করেন। এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? শরীরচর্চা নিঃসন্দেহে জরুরি। কিন্তু কত ক্ষণ করবেন, তা জানাও দরকার। অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, রোজ ঠিক কত ক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। পুজোর আগে আগে অনেকেই দ্রুত রোগা হতে হয়তো সারা দিন জিমেই কাটিয়ে দিলেন। এটি শরীরচর্চার সঠিক পদ্ধতি নয়। সব কিছুর মতো শরীরচর্চারও একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। বেশি বা কম করলে আলাদা কোনও ফল পাওয়া যায় না। এমনটা হতে পারে, হয়তো কোনও ফলই পেলেন না।
অনেকেরই একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে, সারা দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চায় যথেষ্ট। তবে জিম প্রশিক্ষকরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। তবে কেউ যদি পেশিবহুল চেহারা চান, তা হলে আলাদা বিষয়। শারীরিক কসরতের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। সেই সীমা ছাড়িয়ে শরীরচর্চা করলে সমস্যা বাড়বে। এতে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও থেকে যায়। এক দিনে মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা করে আদৌ কোনও সুফল পাওয়া যায় না। বরং এই বিষয়ে ধারাবাহিক হওয়া প্রয়োজন। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা হয়তো শখের বশে জিমে অথবা বাড়িতে শরীরচর্চা শুরু করলেন। কিছু দিন যেতেই আবার উৎসাহও হারিয়ে ফেললেন। এই অভ্যাস শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
তা হলে কী করণীয়?
এক দিন অনেক ক্ষণ জিমে গিয়ে শারীরিক কসরত করার পর, পরের দু’দিন বিশ্রাম নিলে আসলে কোনও লাভই হয় না। রোজ কিছু ক্ষণ করে শরীরচর্চা অনেক বেশি ফলদায়ক হতে পারে।
শরীরচর্চা করা মানেই কিন্তু জিমে গিয়ে পড়ে থাকা নয়। হাঁটতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন, এগুলি শরীরচর্চারই একটি অঙ্গ। শরীর সুস্থ রাখা বা ওজন কমাতে শুধু শরীরচর্চা করলেই কিন্তু হবে না। সেই সঙ্গে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবারও। তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। বেশি করে ফল, শাকসব্জির মতো সুষম খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস করুন।