UTI Symptoms in Men

কোন কোন সমস্যা থাকলে পুরুষদের ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়ে? কী কী উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?

অনেকে ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজারচলতি কিছু ওষুধ ও জেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। কী ভাবে হবে চিকিৎসা?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৫২
কী কারণে পুরুষদের ইউটিআই রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

কী কারণে পুরুষদের ইউটিআই রোগের ঝুঁকি বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।

মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) সব সময়ই অতর্কিতে হানা দেয়। সংক্রমণের পর তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে বা চিকিৎসা না করালে এই রোগ একাধিক বার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। এই রোগ কেবল মহিলাদের হয়, এই ধারণা ঠিক নয়। পুরুষরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement

কেন ছেলেরাও নিরাপদ নন?

ছেলেদের ইউটিআই সাধারণত বয়সের উপরে নির্ভর করে। যেমন, শিশুপুত্রের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই দেখা যায় জন্মগত কারণে তারা এই রোগের শিকার হচ্ছে। ইউরিনারি প্যাসেজে কোনও ত্রুটির কারণে ইউটিআই হতে পারে। খুব ছোট শিশুদের সমস্যা হল, প্রস্রাব করতে গিয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা হলে তারা সেটা মুখে বলতে পারে না। জ্বর হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ইউটিআই ধরা পড়ে। ইউরিনের কালচার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে আরও কিছু পরীক্ষার পরে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। মাঝবয়সিদের ক্ষেত্রে স্ট্রিকচার থাকলে বা প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের কোনও সংক্রমণ, যাকে প্রস্টেটাইটিস বলে, সেখান থেকে ইউটিআই-এর সম্ভাবনা বাড়ে। কিডনি বা ব্লাডারে স্টোন থাকলেও এই রোগ দেখা যায়। প্রৌঢ়ত্বে প্রস্টেট সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় ইউটিআই হয়। যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁদের ক্ষেত্রেও এই রোগের ঝুঁকি বেশি।

প্রস্রাব সংক্রমণের মূল উপসর্গগুলি কী কী?

১) শীত শীত ভাব। মাঝেমাঝে জ্বরও আসে।

২) প্রস্রাব করার সময়ে ব্যথা ও জ্বালা।

৩) প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হওয়া।

৪) প্রস্রাব ঘোলাটে বা লালচে হওয়া।

৫) শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া।

এই রোগের চিকিৎসা কী?

অনেকে ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাজারচলতি কিছু ওষুধ ও জেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। এতে সংক্রমণ কমে না, তার বদলে তা অনেক সময়ে শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ওষুধ বন্ধ করার কিছু দিনের মধ্যেই প্রবল ভাবে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রথম থেকেই এই অসুখ হলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।

অনেক সময়েই দেখা যায়, কারও আগে এই রোগ হয়ে গেলে পরের বার লক্ষণ দেখে তিনি নিজেই আগের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেতে শুরু করে দেন। তা-ও উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইউরিন কালচারের জন্য পাঠিয়ে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ওষুধ খেলে তবেই মিলবে সুফল। কালচারের রিপোর্ট আসতে তিন দিন সময় লাগে। প্রশ্ন হল, সেই সময়ে কী হবে? এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শুরু করতে বলেন, যেটা রিপোর্ট পাওয়ার পরে বদলানো যেতে পারে। এর সঙ্গে রোগীকে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ও ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়।

বার বার হলে কী করবেন?

ইউটিআই অনেক সময়ে ফিরে আসে। প্রথম বার সেরে যাওয়ার কিছু দিন পরে ফের শুরু হয়। এই রেকারেন্ট ইউটিআই খুব সমস্যার। যাঁদের এই প্রবণতা থাকে, তাঁদের প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স দেওয়া হয়। সেরে যাওয়ার পরেও লো ডোজ়ের অ্যান্টিবায়োটিক চলতে থাকে, যেটা অসুখ না থাকলেও বেশ কিছু দিন ধরে খেয়ে যেতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখে নেওয়া হয়, বার বার এমনটা হওয়ার কারণ কী। কোনও অবস্ট্রাকশন থাকলে আগে তার চিকিৎসা জরুরি। কিন্তু কারণ ছাড়াই বার বার ইউটিআই হলে টানা ওষুধ খেতে হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement