শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে তামা প্রবেশ করলে, তা থেকে কিন্তু বিষক্রিয়া হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
জল খাওয়ার সময় ইদানীং তামার পাত্র বা বোতল ব্যবহার করেন অনেকেই। সারা রাত তামার গ্লাসে জল রেখে, সকালে সেই জল খেয়ে নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে বহু বাড়িতেই। তামার পাত্রের ব্যবহার থাইরয়েড, হার্টের সমস্যা, হজমের সমস্যার মতো বহু রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রার ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তামা বা কপার।
এ ছাড়াও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে, উচ্চ রক্তচাপ এবং বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সমান উপকারী তামার পাত্রে রাখা জল। এ কথাও সত্যি যে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে তামা প্রবেশ করলে তা থেকে কিন্তু বিষক্রিয়া হতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তামার বোতলে জল খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বেশি মাত্রায় তামা শরীরে প্রবেশ করলে কিন্তু হিতে বিপরীত পারে। নিজেদের অজান্তেই এমন কিছু ভুল আমরা করে ফেলি, যা থেকে বিপদ বেড়ে যায়। তাই তামার বোতল বা গ্লাস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
উপকার পেতে গেলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১) সারা দিন ধরে তামার বোতল ধরে জল খাওয়া
উপকারের আশায় অনেকেই সারা দিন ধরে এই তামার বোতল থেকে জল খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপদ বাড়িয়ে তোলে। সারা দিন ধরে তামার বোতলে রাখা জল খেলে পেটের সমস্যা, বমি হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অভ্যাস চলতে থাকলে তা থেকে লিভার এবং কিডনি পর্যন্ত বিকল হয়ে যেতে পারে।
২) তামার গ্লাসে লেবুর রস খাওয়া
সকালবেলা উষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এই মিশ্রণ তামার গ্লাসে রাখা বা খাওয়া যাবে না। লেবুতে থাকা অ্যাসিড, তামার সংস্পর্শে এলে বিক্রিয়া শুরু করে। যা পেটের জন্য বিপজ্জনক।
৩) প্রতি দিন তামার বোতল ধোয়া
তামার বোতল পরিষ্কার করতে অনেকেই নুন, লেবুর রস ব্যবহার করেন। যার ফলে তামার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতি বার জল খাওয়ার পর তামার বোতল শুধু জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।