নিয়মিত মুখে মাস্ক পরে রাস্তায় বেরোনোর অভ্যাসে এখন আবার ছেদ পড়েছে। তাই বেড়ে গিয়েছে দূষণজনিত অ্যালার্জি।
নাক দিয়ে কিছু ঢুকলে তা সরাসরি পৌঁছে যেতে পারে মস্তিষ্কে। সেই অর্থে নাক মানবদেহের খুবই স্পর্শকাতর একটি অঙ্গ। তাই নাকে কোনও সমস্যা হলে তা সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে। আবার নাকের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্রেরও যোগ রয়েছে। নাক দিয়ে জীবাণু ঢুকে তা ফুসফুসেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই দূষিত কোনও জায়গায় গেলে নাক, মুখ ঢেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনার সময়ে মুখে মাস্ক পরার কারণে দূষণজনিত সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল। কিন্তু নিয়মিত মুখে মাস্ক পরে রাস্তায় বেরোনোর অভ্যাসে এখন আবার ছেদ পড়েছে। তাই অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও বেড়ে গিয়েছে। তবে আয়ুর্বেদ মতে মাস্ক না পরেও নিয়মিত নাক এবং নাসারন্ধ্র পরিষ্কার করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা এড়াতে প্রতি দিন কী কী করবেন?
১) পরিষ্কার করা
পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল করে, এমন ঘরে থাকতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়াও নিয়মিত ‘নেতি’ বা নুন জলে নাক ধুতে পারলে ব্যাক্টেরিয়া বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা অনেকটাই রুখে দেওয়া যায়।
২) নাক সুরক্ষিত রাখা
অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রুখতে বাইরে নাক ঢেকে বা মাস্ক পরে বেরোনোই ভাল। এ ছাড়াও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে নাকে এক ফোঁটা ঘি দেওয়ার অভ্যাস করলে শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩) সর্দি সারাতে
নাক দিয়ে একনাগাড়ে জল পড়েই যাচ্ছে? সামান্য একটু পাউডার হাতে নিয়ে নাক দিয়ে টেনে নিন। নাক দিয়ে জল ঝরা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।