ছবি: সংগৃহীত
শরীরে চর্বি জমলে কিছু দিন জোরদার হাঁটাহাঁটি ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করে কিছুটা মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন অনেকেই। এতে শরীরের সার্বিক ওজন কমলেও পেটের মেদ সব সময় কমে না। পেটের মেদ কমাতে দরকার পড়ে ধৈর্য আর শারীরিক কসরতের।
পেটের মেদ সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বাড়ায়। হৃদ্রোগ থেকে ডায়াবিটিস বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। বিপাক ক্রিয়া দুর্বল করে তোলে। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’— এর এক গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে এ দেশে প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের পেটে মেদ অর্থাৎ ‘অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি’ আছে।
মধ্যপ্রদেশ স্ফীত হওয়ার কারণ মূলত বাড়তি কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা। পেটের বাড়তি মেদ শরীরে অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। তাই কোনও ভাবেই পেটের মেদ বাড়তে দেবেন না। ইতিমধ্যেই যাঁদের বেড়ে গিয়েছে, তাঁরা পেটের মেদ কমানোর চেষ্টা করুন। কিন্তু কী উপায়ে পেটের মেদ কমাবেন তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পেটের মেদ কমাতে হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখা দরকার। তার জন্য এমন কিছু খাবার বেছে নিতে হবে যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা এমন কয়েকটি খাবারের একটি তালিকা দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে— কাঁচা লঙ্কা (লঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান যা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে), আদা, নারকেল, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়ায় অনেকেই বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু পেটের মেদ কমাতে কার্যকর হতে পারে প্রোটিন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস বারেবারে খিদে পাওয়ার প্রবণতা দূর করে। পেটের ভুঁড়ি কমাতে তাই রোজের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন প্রোটিন।