ছবি : সংগৃহীত।
অল্প ঠান্ডাতেই কাতর হয়ে পড়েন অনেকে। শীতে শহরের পারদ নামল কি নামল না গায়ে সোয়েটার-চাদর মাফলারের পাহাড় চাপিয়ে অস্থির! আবার গরম কালের বাদল দিনেও তাঁরা সন্তর্পনে গায়ে টেনে নেন চাদর, পারলে পাখার রেগুলেটর কমিয়ে দেন দু’ঘর। বন্ধ রাখেন এসি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এ সব না করেও ঠান্ডাবোধ কাটাতে পারেন তাঁরা। নিয়মিত বড় এলাচ খেলে অতিরিক্ত শীতবোধের সমস্যা কাটানো সম্ভব।
কতটা কার্যকরী?
বড় এলাচে ফেনোলিক নামের একটি উপাদান রয়েছে। যা রক্ত সঞ্চালনের জন্য ভাল বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ কণিকা মালহোত্র। এ ছাড়াও বড় এলাচে রয়েছে সিনিওল, তারপাইনিন এবং ক্যামফরের মতো জৈব সক্রিয় উপাদান, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। কণিকা বলছেন, বড় এলাচে থাকা ওই সমস্ত উপাদান শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে উষ্ণতা গোটা শরীরে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই শীতে যাঁরা একটুতেই কাতর হয়ে পড়েন বা যাঁরা শীতে ঠান্ডার দেশে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন, তাঁরা সঙ্গে রাখতে পারেন বড় এলাচ।
বড় এলাচের অন্য গুণ
বড় এলাচ শরীরকে দূষণ মুক্ত করতে সাহায্য করে, হজমে সহায়ক, ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, ত্বক ভাল রাখে, মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি করে যা রজনিবৃত্তির পরে মহিলাদের জন্য জরুরি। কারণ ওই হরমোনের অভাবে মহিলাদের অ্যালঝাইমার্সের মতো সমস্যা দেখা যায়। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজেরও অবনতি হয়।
কী ভাবে খাবেন?
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, বড় এলাচ খেতে হবে তবে শরীর বুঝে। জোরালো এই মশলা অল্প প্রয়োগেই বেশি ফল মেলে। অল্প কয়েকটি দানা চিবিয়ে খেতে পারেন, চা, স্যুপ বা রান্নাতেও থেঁতো করে দিতে পারেন। জলে ফুটিয়ে দিনে ২-৩ বার খাবের পরেও ওই পানীয় অল্প করে খেতে পারেন।