বয়স বাড়ার সঙ্গে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ছবি: শাটারস্টক
কখনও ঘন ঘন মূত্রের বেগ আসা, কখনও প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা ভাব। এ ধরনের অস্বস্তি হলেও চিকিৎসকের কাছে যান না অধিকাংশ মানুষই। কেউ লোকলজ্জার ভয় পান, কেউ আবার ততটাও সচেতন নন বিষয়গুলি নিয়ে। তামাক সেবন-সহ জীবনযাপনে নানা বদভ্যাসের কারণে বাড়ছে ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যানসার। যদিও ক্যানসার বয়সের তোয়াক্কা করে না, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ উত্তীর্ণদের মধ্যে ব্লাডার ক্যানসার বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসকদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। মূত্রথলিতে ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ ধূমপান। তামাকের নেশা মুত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি অ-ধূমপায়ীদের থেকে ৪–৭ গুণ বেশি। এ ছাড়া, যাঁদের প্রস্রাবের ক্রনিক সংক্রমণ হয়, তাঁদের এই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি।
চিকিৎসকদের মতে, এই প্রকার কর্কট রোগের প্রধান উপসর্গ হল মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত। কখনও গাঢ় লাল রঙের রক্তপাত, কখনও হালকা রঙের। এই উপসর্গ দেখলে কখনওই ফেলে রাখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আর কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
অসুখের শুরুতে বার বার বাথরুমে দৌড়তে হয়। বিশেষ করে রাতে বহু বার প্রস্রাব পায়। কিন্তু প্রস্রাব হয় না, আটকে যায়। অনেকটা প্রস্টেটের অসুখের মতোই উপসর্গ। প্রৌঢ়রা অনেক সময় ব্লাডার ক্যানসারকে প্রস্টেটের সমস্যা ভেবে খুব একটা আমল দেন না। এর ফলে রোগ ক্রমশ বেড়ে যায়। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা যেতে পারে বা কালচে প্রস্রাব হতে পারে। জ্বালাও করে। কোমর, তলপেট ও হাড়ে ব্যথা হতে পারে। হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়াও এই রোগের উপসর্গ হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।