বৈশাখ পড়তে না পড়তেই তাপমাত্রার পারদ হু হু করে ঊর্ধ্বমুখী। এ দিকে এখনও ছোটদের স্কুলে গরমের ছুটি পড়তে দেরি। এই প্রবল গরমে শিশুদের স্কুলে যাতায়াতের সময়ে কী ভাবে বাঁচিয়ে চলবেন? শরীরে জলশূন্যতা এড়াতেই বা কী করণীয়?
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আগের চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়ে এখন। চেষ্টা করবেন, যাতে দিনের সবচেয়ে গরমের সময়টায় আপনার বাচ্চা চার দেওয়ালের বাইরে না বেরোয়। স্কুল থেকে ফেরার পথে তা এড়ানো সম্ভব নয়। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে এই সময়ে, যেমন:
- রোদ থেকে এসেই বা গায়ে ঘাম থাকা অবস্থায় জল খাওয়ানো যাবে না। একটু জিরিয়ে নিয়ে শরীর ঠান্ডা হলে তার পরেই জল খাওয়ান। স্নানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। না হলে সর্দি-গর্মির সম্ভাবনা থেকে যাবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল শিশুর শরীরে যাওয়া দরকার। কারণ ওদের ঘাম বেশি হয়। ডাবের জল, শসা, তরমুজ জাতীয় ফল খাওয়ান। দই বা লেবুর শরবত, গ্লুকোজ় ওয়াটারও কার্যকরী। তবে শরবত বা গ্লুকোজ় বোতলে অনেকক্ষণ রেখে খাওয়াবেন না। তৈরির কিছুক্ষণের মধ্যেই খাইয়ে দিন।
- ঠান্ডা লাগার ধাত না থাকলে বিকেলে একবার গা ধুইয়ে দিতে পারেন। স্নানের পরেই পাউডার মাখাবেন না, এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ঘামাচি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেলতে গিয়ে বেশি ঘেমে গেলে গা মুছিয়ে, জামা পাল্টে দিতে হবে।
- ছাতা, টুপি, সানগ্লাস ব্যবহার করতে শেখান বাচ্চাকে। তার চশমা থাকলে ইউভি রে প্রোটেকশনযুক্ত রয় গ্লাস করাতে পারেন। রোদে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন লাগানো দরকার ছোটদের ত্বকেও।
এমন কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই এই গরমেও দিব্যি থাকবে আপনার শিশুটি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)