ভুলে যাওয়ার সমস্যা সব বয়সেই কমবেশি দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ভুলে যাওয়ার সমস্যা সব বয়সেই কমবেশি দেখা যায়। আলমারির চাবি, অফিসের ফাইল, বাজারের ফর্দ এমনকি প্রেমপত্রটি পর্যন্ত নিজের হাতে কোথায় তুলে রেখেছেন, মনে থাকে না। তবে বয়সের চাকা গড়িয়ে ৫০ ছুঁতেই স্মৃতি টালমাটাল হতে থাকে। বয়স বাড়লে স্মৃতি সব সময়ে সঙ্গ দেয় না। ভুলে যাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা সব সময়ে ডিমেনশিয়ার উপসর্গ না-ও হতে পারে। ৫০ পেরোতেই এমন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করলে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং প্রতিরোধের চেষ্টা করুন। তার জন্য কয়েকটি খাবার বেশি করে খেতে হবে।
মাছ
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন মাছ খেতে পারেন। এই অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্ক সচল এবং সক্রিয় রাখতেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি মেলা ভার। এই অ্যাসিড শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। তা হলে আর স্মৃতি মাঝেমাঝে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। সামুদ্রিক মাছে সবচেয়ে বেশি থাকে এই অ্যাসিড। পমফ্রেট, চিংড়ি, ভোলা, তপসের মতো মাছ বেশি করে খান।
সবুজ শাকসব্জি
মস্তিষ্ক সচল রাখতে সবুজ শাকসব্জির কোনও বিকল্প নেই। সব্জিতে রয়েছে ভিটামিন কে, ফোলেট, লুটেইন-এর মতো উপাদান। যেগুলি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পালংশাক, ব্রকোলি, গাজর বেশি করে খেতে পারলে উপকার পাবেন।
কুমড়োর বীজ
কুমড়ো এমনিতে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে কুমড়োর বীজও কিন্তু কম উপকারী নয়। কুমড়োর বীজ হল মিনারেলসের সমৃদ্ধ উৎস। মিনারেলস ছাড়াও এতে রয়েছে জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেশিয়াম। এই প্রতিটি উপাদান মস্তিষ্ক সচল রাখে। বার বার ভুলে যাওয়ার সমস্যা হলে এই খাবারগুলি বেশি করে খেলে সুফল মিলবে।
বাদাম
কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম হল ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ উৎস। শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখতে বাদামের কোনও বিকল্প নেই। তবে মস্তিষ্ক যাতে ঠিক মতো কাজ করে, সে দিকেও খেয়াল রাখে বাদাম।
ব্রকোলি
মস্তিষ্ক সচল রাখতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জুড়ি মেলা ভার। ব্রকোলিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা ছাড়া, ব্রকোলিতে রয়েছে মিনারেলস, ভিটামিন কে। সবগুলি মস্তিষ্কের দেখাশোনায় অত্যন্ত পারদর্শী। তাই সব কিছু ভুলে গেলেও ব্রকোলি খাওয়ার কথা মনে রাখতেই হবে।