সোহা আলি খান। ছবি : সংগৃহীত।
বলিউডের ৬০ কিংবা ৭০-এর দশকের সিনেমায় নায়িকাদের ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যেত। ‘ঢল গয়া দিন হো গয়ি শাম’ গানটা মনে আছে? আঁট সাট চু়ড়িদারে লীনা চন্দ্রভারকরের হাতে ব্যাডমিন্টনের র্যাকেট। গানের তালে তালে ব্যাডমিন্টন খেলছেন তিনি। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকেও একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলতে। এ যুগের নায়িকারাও ব্যাডমিন্টন খেলেন। শর্মিলা-কন্যা সোহা আলি খানই সম্প্রতি তাঁর ব্যাডমিন্টন খেলার ছবি পোস্ট করেছেন। তবে পর্দায় বা সিনেমার প্রয়োজনে নয়। সোহা ব্যাডমিন্টন খেলেছেন পুরোদস্তুর ব্যাডমিন্টন কোর্টে। একটি ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে শাটল ককে হিট করার ঠিক আগের মুহূর্তে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেলায় পুরোপুরি মগ্ন হয়ে রয়েছেন তিনি।
সোহার পরিবারে খেলাধূলার সংস্কৃতি নতুন নয়। সোহার বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ছিলেন ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার। সোহা অবশ্য তাঁর ব্যাডমিন্টন খেলার ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘জিম বন্ধ থাকলে আমি যে কোনও দিন যত ক্ষণ খুশি ব্যাডমিন্টন খেলে যেতে পারি।’’
সোহা নিয়ম করে জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়ান। বলিউড তারকাদের মধ্যে তাঁর মতো ফিটনেস সচেতন অভিনেত্রী হাতে গোনা কয়েকজনই আছেন। সোহার ঘনিষ্ঠরা বলেন, সোহা খেতে ভুলে গেলেও জিমে যাওয়া ভোলেন না কখনও। তবে সেই সোহাই আবার মাঝে মধ্যে জিমে যেতে হবে না বলে আনন্দে নেচে ওঠেন। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে সোহাকে জিমের মধ্যেই নাচতে দেখা যাচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে সোহা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘নাচছি। কারণ, আমি খুশি। কারণ, কাল রবিবার।’’ অর্থাৎ জিম বন্ধ।
তবে জিম বন্ধ থাকলেও সোহার শরীরচর্চা বন্ধ থাকার নয়। তাই খেলাধূলোয় মন দিয়েছেন তিনি। কিছু দিন আগেই একটি পোস্টে সোহা লিখেছিলেন, ‘‘জীবনে প্রচুর ঝঞ্ঝাট সর্বক্ষণ চলছে। চলবেও। খেলাধূলো আমাকে ওই ঝঞ্ছাটের সঙ্গে ভারসম্য রাখতে সাহায্য করে।’’