Monsoon Dehydration

বর্ষায় তেষ্টা কম পাচ্ছে? কোন ৩ লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়েছে?

বর্ষার মরসুমে তেষ্টা কম পেলেও শরীর যে জলের অভাবে আর্দ্রতা হারাচ্ছে, তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলি জানা থাকলে জল খাওয়া নিয়ে সচেতনতা তৈরি হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ১২:২৫
Symbolic Image.

বর্ষায় সারা দিনে অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

বারো মাস সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল বেশি করে জল খাওয়া। শরীর ভাল রাখার এর চেয়ে ভাল কোনও বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু বর্ষার মরসুমে সব সময়ে জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না। কারণ তেষ্টা কম পায়। বৃষ্টির দিনে আবহাওয়া তুলনায় ঠান্ডা থাকে। গরম কম লাগে। গ্রীষ্মের অস্বস্তি থাকে না। ফলে জল খাওয়ার চাহিদাও অনেকটা কমে যায়। তেষ্টা কম পাওয়ায় শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হতে থাকে।

অথচ বর্ষাতেই জল বেশি করে খাওয়া জরুরি। এ সময়ে সংক্রমণের ভয় বেশি। নানা রকম ব্যাক্টেরিয়ার হানায় ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। পেট খারাপ থেকে জ্বর, সর্দি-কাশি, পিছু ছাড়ে না অসুখ। জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। তেষ্টা না পেলেও সারা দিনে অন্তত তিন লিটার জল খেলে ভাল। বর্ষায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে শরীর আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। বাইরে থেকে লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও গ্রীষ্মের মতো বর্ষাতেও শরীরে জলের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই কখন তেষ্টা পাবে, সেই আশায় বসে না থেকে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর জল খান। দিনে আট গ্লাস জল না খেলে পস্তাতে হতে পারে। অফিসে নিজের ডেস্কে জল রাখুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গলা ভিজিয়ে নিন। বাইরে গেলেও সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। চেষ্টা করুন তরল খাবার বেশি করে খাওয়ার। ফল খান নিয়ম করে। তা হলেও অন্তত শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে।

Advertisement

তেষ্টা না পেলেও শরীর যে জলের অভাবে আর্দ্রতা হারাচ্ছে, তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেগুলি জানা থাকলে জল খাওয়া নিয়ে সচেতনতা তৈরি হবে।

১) প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন। হলুদ হলে বুঝবে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রয়োজন মতে জল খাচ্ছেন না। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে পরবর্তীকালে বড় কোনও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই জল বেশি করে খাওয়া জরুরি।

২) বাইরের খাবার খান না। অফিসেও বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যান। শাকসব্জি খান বেশি করে। তা সত্ত্বেও পেটের গোলমাল কমছে না? জল কম খাচ্ছেন বলে এমন হচ্ছে। বেশি করে জল খেতে শুরু করলে পেট ঠিক থাকবে।

৩) রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও ক্লান্তি কাটছে না? শরীরে জলের ঘাটতির কারণে এমনটা হতে পারে। নিজেকে চাঙ্গা রাখতে জল খেতে হবে বেশি করে।

আরও পড়ুন
Advertisement