Raisin

খিদে পেলেই মুঠো মুঠো কিশমিশ খান? শরীরের ক্ষতি হতে পারে কি এতে?

বিভিন্ন ধরনের রান্নায় কিশমিশ ব্যবহারের চল রয়েছে। কিশমিশ নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে সকলের জন্য নয়। কারা কিশমিশ এড়িয়ে চলবেন?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২৫
আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা কিশমিশ শরীর ভাল রাখে।

আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা কিশমিশ শরীর ভাল রাখে। ছবি: সংগৃহীত

পায়েস কিংবা পোলাও— বাঙালির প্রিয় এই খাবাগুলির অন্যতম একটি উপকরণ হল কিশমিশ। রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও কিশমিশের রয়েছে আরও অনেক গুণ। স্বাস্থ্যগুণের ভিত্তিতে কিশমিশ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশ কাজে আসতে পারে। আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবারের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ঠাসা কিশমিশ শরীর ভাল রাখে।

রান্নায় তো ব্যবহার হয়-ই, সেই সঙ্গে অনেকেই আবার দিনে কয়েকটি করে কিশমিশ এমনিই খান। তাতে অবশ্য সমস্যার কিছু নেই। কিশমিশ শরীরের শক্তি জোগায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, কপারের মতো কিছু উপকারী উপাদান। পুষ্টিবিদরা আবার বলেন, শুকনো কিশমিশ খাওয়ার চেয়ে ভেজানো কিশমিশ নাকি বেশি উপকারী। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও সন্দেহ। কারণ ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে সত্যিই উপকার পাওয়া যায়।

Advertisement
কিশমিশ রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতেও সিদ্ধহস্ত।

কিশমিশ রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতেও সিদ্ধহস্ত। ছবি: সংগৃহীত

কিশমিশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা কিশমিশ খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এ ছাড়া কিশমিশ রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতেও সিদ্ধহস্ত। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিশমিশ দারুণ কার্যকর। এ ছাড়া কিডনি ভাল রাখতেও কিশমিশের উপকারিতা কম নয়। কিশমিশ নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে সকলের জন্য নয়। কারা কিশমিশ এড়িয়ে চলবেন?

১) কিশমিশে ফাইবারের পরিমাণ বেশি বলে রোজ এটি খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার আবার শরীরের ক্ষতিও করতে পারে। হজমের গোলমাল থাকলে রোজ কিশমিশ না খাওয়াই ভাল। পেটফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, রোজ কিশমিশ তাঁদের না খাওয়াই ভাল।

২) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের কিশমিশ এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ কিশমিশ এমনিতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে কিশমিশ খেলে সমস্যা কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। তাই কিশমিশ খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

৩) অ্যালার্জি থাকলেও কিশমিশ না খাওয়া ভাল। কিশমিশে নানা প্রকার ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। যা ত্বকের জন্য খুব ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার জেরে ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা ফেলে দেওয়া যায় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement