নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেই এত ফিট রোহিত রায়। ফাইল চিত্র।
নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেন রোহিত রায়। তিনি স্বাস্থ্য সচেতন। বয়স যত বাড়ছে, ততই চেহারায় তরতাজা ভাব আরও বেশি করে ফুটে উঠছে রোহিতের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন যে, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া আর নিয়মিত শরীরচর্চাতেই এত ফিট তিনি। বয়স যেন ছুঁতেই পারেনি তাঁকে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন, শরীরচর্চার আগে ঠিক কী খান তিনি। এমন এক পানীয় যা খেলেই শরীরে বল পান। শরীরচর্চার পরেও তেমন ভাবে ক্লান্তিভাব আসে না।
শরীরচর্চার আগে ও পরে কী কী খাওয়া উচিত সে নিয়ে এখন বিস্তর চর্চা হচ্ছে। বলিউড তারকারা নানা সময়ে বলছেন, তাঁরা ঠিক কী খেয়ে জিমে যান এবং জিম থেকে ফিরে কী কী খান। রোহিত জানিয়েছেন, শরীরচর্চাটাই মন দিয়ে করেন তিনি। তার আগের ও পরের খাওয়া নিয়ে ততটা মাথা ঘামান না। জিমে যাওয়ার আগে শুধু এক কাপ কালো কফিতে এক চিমটে নুন মিশিয়ে খেয়ে নেন। এই পানীয়ই নাকি তাঁর পেশির শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
এখন কথা হল, শরীরচর্চার আগে কফি খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর? রোহিত রায়ের এই অভ্যাস নিয়ে আগ্রার রেনবো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ রেনুকা ডাং জানিয়েছেন, ক্লান্তি কাটাতে কফির তুলনা নেই। কফি রোগা হতে সাহায্য করে। তবে দুধ-চিনি মেশানো রাজকীয় কফি খেলে চলবে না। চিনি ছাড়া কালো কফিই খেতে হবে। কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করবে। আর তাতে এক চিমটে নুন মিশিয়ে নিলে তা নিমেষে শরীর চাঙ্গা করবে। নুন শরীরের ‘ইলেকট্রোলাইট’-এর ভারসাম্য বজায় রাখবে, পেশির ক্লান্তিভাবও কাটাবে। শরীরচর্চার পরে পেশিতে টান ধরে অনেকের, শরীর ঝিমিয়ে পড়ে। এই অবস্থা কাটাতেই সাহায্য করবে কালো কফি। তা ছাড়া কফিতে থাকা ক্লোরোজিনিক অ্যাসিড নামের ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে গ্লুকোজ তৈরির হার কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতাও কমে।
তবে কফি ঘন ঘন খেলে চলবে না। কার শরীরে ঠিক কতটা জরুরি তা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদই বলতে পারবেন। যদি হাইপারটেনশন বা অনিদ্রার সমস্যা থাকে, তা হলে কফি কম খাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে ব্যায়াম শুরুর আগে পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে পেশিতে টান লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়।