Cancer Vaccine

ক্যানসারের নতুন টিকা তৈরির দাবি ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের, অন্যগুলির থেকে কতটা আলাদা?

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা নতুন এক রকম প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা করছেন, যেটি সব রকম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারবে বলেই দাবি। ব্রিটেনের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যাল্‌স (জিএসকে) এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা যৌথ ভাবে প্রতিষেধকটি তৈরি করছেন বলে খবর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৯
Oxford University and GSK scientists are creating a cancer vaccine that can stop disease 20 years before

ক্যানসারের নতুন টিকা কী ভাবে কাজ করবে? ফাইল চিত্র।

ক্যানসারের আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন রকম গবেষণা চলছে। বর্তমানে ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কয়েক প্রকার প্রতিষেধকও চলে এসেছে বাজারে, যেমন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের প্রতিষেধক যা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হেপাটাইটিস বি টিকা যা লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা আরও এক প্রকার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা করছেন, যেটি সব রকম ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারবে বলেই দাবি। ব্রিটেনের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন ফার্মাসিউটিক্যালস্ (জিএসকে) এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা যৌথ ভাবে প্রতিষেধকটি তৈরি করছেন বলে খবর।

Advertisement

অক্সফোর্ডের গবেষক সারা ব্ল্যাগডেন জানিয়েছেন, প্রতিষেধকটির কাজ হল নিওঅ্যান্টিজেনগুলিকে খুঁজে বার করে নষ্ট করা। নিওঅ্যান্টিজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ক্যানসার কোষেই জন্মায়। শরীরের যেখানে কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হয়ে টিউমার তৈরি হতে থাকবে, সেখানেই নিওঅ্যান্টিজেন নামে প্রোটিনটি তৈরি হবে। এই প্রোটিনের সংখ্যা যেখানে বেশি, সেখানেই ক্যানসার কোষ তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধগুলিও এই প্রোটিনটিকেই খুঁজে বার করে নষ্ট করার চেষ্টা করে। তবে এই প্রোটিন এক বার তৈরি হতে শুরু করলে, তাকে থামানো খুব কঠিন। সে জন্যই ক্যানসার কোষ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং আশপাশের সুস্থ কোষগুলিরও ক্ষতি করতে থাকে।

নতুন প্রতিষেধকটির কাজ হবে গোড়াতেই নিওঅ্যান্টিজেনকে খুঁজে বার করে তাকে ধ্বংস করা। অথবা শরীরেরই রোগ প্রতিরোধী টি-কোষগুলিকে এমন ভাবে সক্রিয় করে তোলা, যাতে ক্যানসারের প্রোটিন তৈরিই না হতে পারে। সারার দাবি, নতুন প্রতিষেধকটি সঠিক ডোজ়ে দিতে পারলে অন্তত ২০ বছরের মধ্যে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।

প্রতিষেধকটির ‘ট্রায়াল’ মানুষের শরীরে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএসকে-র মুখ্য বিজ্ঞানবিষয়ক আধিকারিক টনি উড। তিনি জানান, বছরে প্রতিষেধকটির ৫ কোটি ডোজ় তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের শরীরে ট্রায়ালের ফলাফল যদি আশানুরূপ হয় ও প্রতিষেধকটি প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া যায়, তা হলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।

প্রতিষেধক দেওয়ার বয়ঃসীমা রয়েছে। ৯ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে ক্যানসারের প্রতিষেধক নিলে সবচেয়ে ভাল হয়। টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে যদি অ্যালার্জি হয় বা কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে তা আর নেওয়া যাবে না। তবে নতুন প্রতিষেধকটির তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।

Advertisement
আরও পড়ুন