Diabetes Symptoms

প্রায় ১০ কোটি ভারতীয় ডায়াবেটিক, ১৩ কোটির রয়েছে রোগের ঝুঁকি! কী ভাবে সতর্ক হবেন?

দ্য ল্যানসেট ডায়াবিটিস এবং এন্ডোক্রিনোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার মোট ১১.৪ শতাংশই ডায়াবেটিক। কোন রাজ্যে ডায়াবিটিস রোগীর সংখ্যা বেশি?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ১৫:০২
Image of Diabetes.

— প্রতীকী ছবি

১০ কোটি ১০ লক্ষ ভারতীয় ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা তেমনই বলছে। ‘দ্য ল্যানসেট ডায়াবিটিস এবং এন্ডোক্রিনোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ১১.৪ শতাংশই ডায়াবেটিক। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে প্রায় ১৩ কোটি ৬ লক্ষ ভারতীয়ের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

সমীক্ষাটি পুরোটাই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, গোয়ায় টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে মোট জনসংখ্যার ২৬.৪ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিক। পুদুচেরিতে ২৬.৩ শতাংশ এবং কেরলে ২৫.৫ শতাংশ মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। পশ্চিমবঙ্গে ১৩.৭ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিক।

Advertisement
Image of Diabetes.

—প্রতীকী ছবি

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে তা বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত জরুরি। না হলে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা অসম্ভব। সাধাণরত, শরীরের বেশ কিছু লক্ষণের প্রতি সজাগ থাকলেই এই অসুখ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।

কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হবেন?

ঘন ঘন অতিরিক্ত জল তেষ্টায় জিভ শুকিয়ে আসে? জল তেষ্টায় রাতে বার বার ঘুম ভাঙে যায়? এই উপসর্গ ডায়াবিটিসের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তিতেও। চারপাশ ঘোলাটে দেখালে বা বই পড়ার সময়ে সমস্যা হলে সচেতন হতে হবে। রক্তের অতিরিক্ত শর্করা বার করে দেওয়ার জন্য শরীর কিডনির উপর চাপ দেয়, ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। হঠাৎ প্রস্রাবে যাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও সতর্ক হতে হবে। হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা এবং তা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আরও নানা কারণে এমনটা ঘটতেই পারে। তবে ডায়াবিটিস দানা বাঁধলেও এমনটা হয়। ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করেই কি ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেকটা। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অত্যধিক ওজন বেড়েও যায়। তাই হঠাৎ ওজন হ্রাস পেলে বা বৃদ্ধি পেলে সতর্ক হোন। শরীরের কোনও অংশে ঘা শুকোতে দেরি হচ্ছে? তা হলেও অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ দিন।

Advertisement
আরও পড়ুন