পেঁয়াজ-রসুন দিয়েই হবে আঁচিলের সমস্যা দূর! ছবি: শাটারস্টক।
আঁচিল এমনিতে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু তা অনেক সময় অস্বস্তিজনক হয়ে ওঠে। এক ধরনের ভাইরাসের কারণে আঁচিল হয়। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাস নামের ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শরীরে ক্রমশ বাড়তে থাকে এই সমস্যা। ফলে বড় হয় আঁচিল। তবে সব ক্ষেত্রে আঁচিল সমান ভাবে বড় হয় না। এক এক জনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ভিন্ন। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। কেউ আবার লেজার থেরাপিরও সাহায্য নেন। আঁচিল কমাতে এর পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
অ্যাসপিরিন
খুবই সাধারণ একটি ওষুধ। অনেকের বাড়িতেই থাকে। তবে আঁচিল কমাতে এই ওষুধ খেতে হবে না। প্রথমে এটি গুঁড়ো করে নিন। তার পরে জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। সেটি আঁচিলের উপর লাগিয়ে দিন। এ বার ব্যান্ডেজে ঢেকে সারা রাত রেখে দিন। অ্যাসপিরিনে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বলে একটি উপাদান আছে। সেটি সহজেই আঁছিলের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে।
নেলপলিশ
কিছু নেলপলিশ হয়, যার কোনও রং থাকে না। এই ধরনের স্বচ্ছ্ব নেলপলিশ আঁচিলের উপরে লাগিয়ে দিতে পারেন। তাতে জীবাণু মারা যাবে। কমবে আঁচিল। অনেকে এক দিন অন্তর এই স্বচ্ছ্ব নেলপলিশ আঁচিলের উপরে লাগান। অনেকে আবার দু’-তিন দিন অন্তর এক বার করে নেলপলিশ ব্যবহার করেন। সকলের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সমান ভাবে কাজে লাগে না। তবে বেশির ভাগই উপকার পান।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে আছে অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ, যা বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজের রসে রয়েছে আঁচিল কমানরো ক্ষমতাও। পেঁয়াজের রস তুলো ভিজিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। এতে উপকার পেতে পারেন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
ভিনিগারে ভেজানো তুলো আঁচিলের উপর রেখে দিন সারা রাত। পর পর পাঁচ দিন করুন। অ্যাপল সিডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। আঁচিলের সমস্যা কমাতে দারুণ সাহায্য করে অ্যাপল সিডার ভিনিগার।
রসুন
ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালে উপকার পাবেন।