Benefits Of Running

শরীর চাঙ্গা রাখতে জিমে যান না মিলিন্দ! ফিট থাকতে কোন উপায়ে ভরসা রাখেন অভিনেতা?

রোজ নিয়ম করে দৌড়লেও কিন্তু অনেকটা ওজন কমানো সম্ভব হয়। অভিনেতা ও মডেল মিলিন্দ সোমানও এমনটাই মনে করেন। দৌড়নোর সময় কোন ৫ কথা মাথায় রেখে চলতে হবে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৮:৩০
Image of Minind Sonam.

অভিনেতা ও মডেল মিলিন্দ সোমান। ছবি: সংগৃহীত।

‘ওজন কমানোর উপায়’ লিখে গুগলে সার্চ করুন, নিমেষে পেয়ে যাবেন হাজার রকম ফন্দি-ফিকির। কোথাও বলা হয় কড়া ডায়েটের কথা, কোথাও আবার জোর দেওয়া হয়েছে জিম বা শরীরচর্চার উপর। এগুলির সবই সময়সাপেক্ষ। অথচ রোজ নিয়ম করে দৌড়লেও কিন্তু অনেকটা ওজন কমানো সম্ভব হয়। অভিনেতা ও মডেল মিলিন্দ সোমানও এমনটাই মনে করেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফিটনেস নিয়ে আলোচনা করার সময় মিলিন্দ বলেছেন, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত দৌড়নোর জুড়ি মেলা ভার। মিলিন্দ বলেছেন, ‘‘২০০৩ সাল পর্যন্ত আমার দৌড়তে একেবারেই ভাল লাগত না। কিন্তু তার পর ২১ কিলোমিটার ম্যারথনে প্রথম বার দৌড়নোর পর আমি ভীষণ আনন্দ পাই। আসলে ভাল অভিজ্ঞতা হলে তবেই কোনও জিনিস ভাল লেগে যায় মানুষের। দৌড়নোর ক্ষেত্রেই তাই। ফিট থাকার জন্য সকলেই দৌড়তে পারবেন। প্রথমেই অনেকটা দৌড়নোর দরকার নেই। ৫০০ মিটার দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে বেশি সময় ধরে করুন। এর মাধ্যমে আপনি কিন্তু নতুন জীবন উপভোগ করতে পারবেন।’’

Advertisement
Image of Running.

চটজলজি ওজন ঝরাতে চাইলে নিয়মিত দৌড়ন। ছবি: সংগৃহীত।

মেরিকান কলেজ অব স্পোর্টস মেডিসিনের গবেষণা অনুসারে, দৌড়নোর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ৫৬৬ থেকে ৮৩৯ ক্যালোরি খরচ হয়। তাই চটজলজি ওজন ঝরাতে চাইলে নিয়মিত দৌড়তে পারেন আপনি।

দৌড়ের সময়ে কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন সেটা জেনে নিন।

প্রথমেই দৌড় নয়: প্রথমেই দৌড়তে শুরু করবেন না। তার আগে অবশ্যই ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ এবং ওয়ার্মআপ করতে হবে। না হলে হঠাৎ দৌড় শুরু করলে পেশিতে টান লাগতে পারে, চোট-আঘাতের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

সঠিক জুতো বাছাই করুন: দৌড়নোর সময় স্পোর্টস শু পরতে হবে। দৌড়ের সময়ে সঠিক জুতো না পরলে স্নায়ুর সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে।

ভরা পেটে দৌড় নয়: হালকা কিছু খেয়ে দৌড়ন। কিন্তু ভরা পেটে কখনও নয়। কারণ, খাবার হজম করতে শরীর অনেকটা শক্তি খরচ করে। সে সময় দৌড়লে খাবার ঠিক করে হজম হয় না। অল্পতেই আপনি হাঁপিয়ে উঠতে পারেন।

শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়: দৌড়নোর মাঝেমাঝে খানিক ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অল্প অল্প করে জল খেতে হবে। দৌড়লে প্রচুর ঘাম হয়। তাতে শরীর থেকে জল বেরিয়ে গিয়ে, শরীর শুকিয়ে গেলে মাথা ঘুরতে পারে। অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তা ছাড়া শরীরে জলের ঘাটতি হলে ‘মাসল ক্র্যাম্প’ হয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে।

গতি এক রাখুন: একটি নির্দিষ্ট গতিতে দৌড়ন। এই প্রচণ্ড জোরে দৌড়লাম, এই আবার আস্তে! এ রকম করবেন না। হাঁপিয়ে গেলে বিশ্রাম নিয়ে তার পর দৌড়ন। না হলে শরীর গতির সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারে না।

আরও পড়ুন
Advertisement