Premature Baby

ওজন দুধের প্যাকেটের চেয়ে কম, ১ শতাংশ বাঁচার আশা ছিল না, লড়ছে দেশের ‘ক্ষুদ্রতম’ নবজাতক

সময়ের বহু আগেই জন্ম হয় পুণের এক শিশুর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শিশুটির বাঁচার আশা ০.৫ শতাংশ। কিন্তু সব হিসাবকে ভুল প্রমাণ করে ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছে শিবন্যা নামের শিশুটি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১৭
গর্ভাবস্থার সময় ও জন্মের সময় শিশুটির ওজনের কথা বিবেচনা করলে শিবন্যাই ভারতের ইতিহাসে  ক্ষুদ্রতম নবজাতক।

গর্ভাবস্থার সময় ও জন্মের সময় শিশুটির ওজনের কথা বিবেচনা করলে শিবন্যাই ভারতের ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম নবজাতক। ছবি: প্রতীকী

সময়ের বহু আগেই মাত্র ২৪ সপ্তাহের মাথায় জন্ম, ওজন ছিল মাত্র ৪০০ গ্রাম। অর্থাৎ বাজারচলতি দুধের প্যাকেটের চেয়েও কম ওজন ছিল পুণের এক সদ্যোজাতের। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, শতাংশের হিসাবে শিশুরটির বাঁচার আশা ০.৫ ভাগের মতো। কিন্তু সব হিসাবকে ভুল প্রমাণ করে ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছে শিবন্যা নামের শিশুটি।

Advertisement

২০২২ সালের ২১ মে জন্ম হয় শিবন্যার। পুণের সূর্য মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হসপিটালের শিশু চিকিৎসক সচিন শাহের দাবি, গর্ভাবস্থার সময় ও জন্মের সময় শিশুটির ওজনের কথা বিবেচনা করলে শিবন্যাই ভারতের ইতিহাসে ক্ষুদ্রতম নবজাতক। জন্মের পর থেকে টানা ৯৪ দিন আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। অগস্টের ২৩ তারিখ আইসিইউ থেকে বার করা হয় শিশুকন্যাকে। তখন তাঁর ওজন ছিল ২১৩০ গ্রাম। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের পর যাদের জন্ম হয়, তাদের স্বাভাবিক ওজন ২,৫০০ গ্রামের মতো ধরা হয়। ফলে আইসিইউ থেকে বার করার সময় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে শিবন্যার অবস্থা।

ভারতে এত ছোট্ট নবজাতকের প্রাণরক্ষার ঘটনা আগে কখনও নথিবদ্ধ করা হয়নি।

ভারতে এত ছোট্ট নবজাতকের প্রাণরক্ষার ঘটনা আগে কখনও নথিবদ্ধ করা হয়নি। ছবি: প্রতীকী

খুদের বাবা জানিয়েছেন, জন্মের প্রায় ৭ মাস পর এখন ছোট্ট শিবন্যার ওজন প্রায় ৪.৫ কিলোগ্রাম। এখন সে খাওয়াদাওয়াও করছে নিয়মিত। খুদে শিবন্যার লড়াইতে আশার আলো দেখছেন, তার বাবা-মা থেকে চিকিৎসক সকলেই। শিশু চিকিৎসক সচিন শাহের দাবি, ভারতে এত ছোট্ট নবজাতকের প্রাণরক্ষার ঘটনা আগে কখনও নথিবদ্ধ করা হয়নি। শিবন্যার ঘটনা সার্বিক ভাবে, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিরই লক্ষণ বলে মত চিকিৎসকের।

আরও পড়ুন
Advertisement