Home Remedies of Acidity

দুপুরের ভূরিভোজে কব্জি ডুবিয়ে মুরগি-মটন খেয়ে অম্বল? অ্যান্টাসিড নয়, শুনুন পুষ্টিবিদের পরামর্শ

বছর শুরুর দিনে খাওয়াদাওয়ায় সংযম থাকবে না। দিনভর ভালমন্দ খাওয়া চলবেই। কষিয়ে মুরগি-মটন খাবেন কমবেশি সকলেই। কাজেই মনে রাখতে হবে যে, শরীরে অম্বলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে গলার কাছে টক টক ভাব, বুকে, তলপেটে ব্যথা শুরু হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫২
How to Prevent Acid Reflux and Heartburn after heavy meal in Poila Baishakh

অম্বল কমাতে অ্যান্টাসিড নয়, সহজ উপায় বলে দিলেন পুষ্টিবিদ। —ফাইল চিত্র।

বাঙালির উৎসব মানেই সাজগোজ আর ভূরিভোজ। রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়ার পরিকল্পনা আছে অনেকেরই। আবার বাড়িতেও পঞ্চব্যঞ্জন রান্না করার কথা ভেবেছেন। ভোজনরসিক বাঙালি যতই গ্যাস-অম্বলে কাবু হোক না কেন, খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে আপস করেনি কখনও। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে খেয়ে তার পর অম্বল, পেটে ব্যথা, বুক জ্বালার কবলে পড়েছে। বছর শুরুর দিনেও যে খাওয়াদাওয়ায় সংযম থাকবে তা নয়। কষিয়ে মুরগি-মটন খাবেন কমবেশি সকলেই। কাজেই মনে রাখতে হবে যে, শরীরে অম্বলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে গলার কাছে টক টক ভাব, বুকে, তলপেটে ব্যথা, বমি থেকে গ্যাসট্রিক আলসার অবধি হতে পারে।

Advertisement

অম্বল মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ অ্যান্টাসিড নয়। প্যান্টোপ্রাজ়োল জাতীয় যে ওষুধগুলো মুড়ি-মুড়কির মতো খেয়ে খাওয়া হয়, সেগুলোও একদম ঠিক নয়। অনেকে বদহজম হলেও প্যান্টোপ্রাজ়োল খেয়ে ফেলেন। কিন্তু ওগুলো হজমের পদ্ধতিটাকে অনেক দেরি করায়। অ্যাসিড যখন পেটের ভিতরের পিএইচের মাত্রা বদলে দেয়, তখন কিছু ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। তারাই জন্ম দেয় গ্যাসের। ফলে গ্যাস হলে অ্যান্টাসিড খেয়ে ফেলাও ভুল। তা হলে উপায় কী?

পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, খাবার খেতে হবে সময় ধরে। যেমন, বেলা ১টার মধ্যে দুপুরের খাওয়া সারতে হবে, ৩টেয় খেলে তা হজম হবে না। রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই। ঘড়ি ধরে খেলে এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে কোনও সমস্যা থাকবে না। আর দ্বিতীয়ত, সময় নিয়ে খেতে হবে। খাবার ভাল করে চিবিয়ে খেলেই অম্বলের সমস্যা কম হবে।

সবই খান, কিন্তু কম পরিমাণে। পেট যেন আইঢাই না করে। খাবার পরেই নরম পানীয় না খেয়ে জলজিরা খেয়ে নিন। দুপুরে ও রাতে যদি ভারী খাবার খান, তা হলে পরের দিন সকালে মৌরি-মেথি ভেজানো জল খান। রাতে মৌরি-মেথি জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে পেট পরিষ্কার থাকবে।

খাওয়ার পরে যদি দেখেন পেট ফাঁপছে, তা হলে দারচিনি মেশানো জল খেতে পারেন। দারচিনির প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। তুলসীপাতা ৫-৬টা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেলে অথবা ৩-৪টে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই জল খেলে গ্যাস-অম্বল অনেক কমে যাবে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আছে যাঁদের, তাঁরা পুদিনাপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল খেলে গলা, বুকজ্বালা কমবে।

খাওয়ার পরে গলার কাছে জ্বালাভাব হলে গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ ফুটিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। এতে অম্বল কমে যাবে। অল্প বিটনুন দিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। তাতেও লাভ হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন