শীতের শুরুতে সংক্রমণ ঠেকাবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, তার সঙ্গে অনেকের শরীর ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। শীতকাল পড়তে না পড়তেই তাই বাড়িতে বাড়তে সর্দি, কাশি, গলাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। আট থেকে আশি— শীত আসার আগেই ঠান্ডায় কাবু সব বয়সিরা। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের কিন্তু মরসুম বদলের সময় বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘এখন সকালের দিকে গরম আর রাত পড়তেই হালকা শীত শীত ভাব। এমন মরসুমে কিন্তু ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা খুব বেশি। সন্ধের পর থেকেই শিশির পড়তে শুরু করে, ঠান্ডা হাওয়া দেয়, তাই এখন থেকেই একটা স্টোল কিংবা মাফলার সঙ্গে রাখুন। ট্রেন, বাস কিংবা অটোতে জানলার ধারে বসলে কান-গলা ভাল করে ঢেকে বসুন। বাইকে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁরা গরমের পোশাক পরে, গলা ঢেকে বাইক চালান। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই সময়টা খুব সাবধানে থাকবেন। সঙ্গে অবশ্যই ইনহেলার রাখুন। খুব বেশি শ্বাসকষ্ট হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেরি করলে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের বেশি সাবধানী হতে হবে।’’
শীতের মরসুমে কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?
১) এই সময়ে কখনও কখনও ফ্যান, এসি না চালালে গরম লাগে, আবার চালালে ঠান্ডা লাগে। গরম লাগছে বলে খুব জোরে ফ্যান চালাবেন না ভুলেও, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যেন না করা হয়, সে দিকেও সতর্ক থাকুন।
২) যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরা এই মরসুমে ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না ভুলেও। শীতের সময়টা ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করাই ভাল। ভোরবেলা হোক কিংবা অফিস থেকে ফিরে— যখনই স্নান করবেন, গরম জলে করুন।
৩) শীতের সময়ে অল্প সর্দি-কাশি হলেও আগে থেকেই নুনজলে গার্গেল শুরু করুন। গরম জলের ভাপ নিন নিয়মিত।
৪) বাড়িতে কারও সর্দি-কাশি হলে শিশুদের তাঁর কাছে যেতে না দেওয়াই ভাল। অফিসের ভিতরে এসিতেই অনেকটা সময় কাটে অনেকের। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে নিজেকে সাবধানে রাখুন। প্রয়োজনে তাঁকে মাস্ক পরতে বলুন বা নিজে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। হাত না ধুয়ে মুখ-চোখে কিংবা নাকে হাত দেবেন না। বাইরে বেরোলে মাঝেমাঝেই হাত স্যানিটাইজ় করুন।
৫) এই সময়ে পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন লেবু, কমলালেবু, আমলকি বেশি করে রাখতে হবে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি সাহায্য করে।