কিটো ডায়েট প্ল্যানে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। প ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। চটজলদি ওজন কমাতে এই ডায়েটের কোনও তুলনা নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক নিয়ম মেনে এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে ছ’ মাসে আপনি ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করবে আপনার বর্তমান ওজন, জীবনযাপনের পদ্ধতি আর কর্ম দক্ষতার উপর।
কিটো শুরু করার প্রথম সপ্তাহে কত কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরানো সম্ভব?
কিটো ডায়েট প্ল্যানে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে খেতে হবে পরিমাণ মতো প্রোটিন এবং বেশি করে ফ্যাট জাতীয় খাবার। মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তা সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই। মূলত ফ্যাট বার্ন করেই শরীরে শক্তির ঘাটতি মিটবে। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীর যে বিশেষ মেটাবলিক পর্যায়ে চলে যায় তাকেই চিকিত্সার ভাষায় কিটোসিস বলে। শরীর যখন কিটোসিস পর্যায় থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়, যে কারণে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এই ডায়েট মেনে চললে আপনার খিদে কমে যায়। এই ডায়েট শুরু করার প্রথম সপ্তাহে আপনি দু’ থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরাতে পারবেন। এই সময়ে শরীরে হঠাৎ করে শর্করার ঘাটতি হয়ে বলে আপনি সারা দিন ক্নান্তবোধ করতে পারেন, এমনকি ঘুম কমে যাওয়া, মাথা ঘোরানো এবং মাথা ব্যথাও হতে পারে।
কিটো শুরু করার প্রথম মাসে কত কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরানো সম্ভব?
কিটো শুরু করার এক মাস পর ওজন মাপার পর যদি দেখেন ওজনে তেমন কোনও হেরফের হয়নি তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি জিনস পরার সময় লক্ষ করবেন আপনার কোমর থেকে দিব্যি নেমে আসছে জিনস। কোনও জামা পরার সময় দেখা যাবে বেশ ঢিলেঢালা লাগছে। অর্থাৎ আপনার মেদ ঝরেছে। তবুও ওজন না কমার কারণ হতে পারে আপনার পেশিভর বেড়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।
কিটো শুরু করার তিন মাস পর কত কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরানো সম্ভব?
সঠিক নিয়মে কিটো ডায়েট মেনে চললে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন ঝরতে পারে। তবে ব্যক্তিভেদে ওজন কমার হেরফের হতেই পারে। ডায়েটের পাশাপাশি আপনি দিনে কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন সেটাও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।