কোন চায়ে ওজন ঝরবে চটজলদি? ছবি: সংগৃহীত।
ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ বার্লিতে রয়েছে সেলেনিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এটি এক ধরনের শস্যদানা। ইদানীং অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষই ভাতের বদলে বার্লি সেদ্ধ করে খাওয়া অভ্যাস করেছেন। দিন দিন বাড়ছে বার্লির গুরুত্ব। পুষ্টিবিদদের মতে, বার্লি জলে ফুটিয়ে খেলে ওজন ঝরানোর পাশাপাশি, তা ডায়াবিটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। আর কী কী সমস্যার সমাধান করতে পারে বার্লি চা?
১) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে বার্লি চা। পুষ্টিবিদদের মতে, বার্লিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই এই জল খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। যাঁদের হজমজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও বার্লি চা খাওয়া উপকারী।
২) দেহের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে জল বা বাজারজাত পানীয়ের উপর ভরসা না করে বার্লির চা খেয়ে দেখতে পারেন।
৩) মূত্রনালিতে সংক্রমণ এবং কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন বার্লি চায়ে। শরীরে জলের চাহিদাপূরণ থেকে শুরু করে দূষিত পদার্থ দূর করা, সবেতেই কার্যকর বার্লি ভেজানো চা।
৪) ওজন ঝরাতে যত কসরতই করুন না কেন, কোনও কাজই হবে না যদি বিপাকহার উন্নত না হয়। বিপাকহার ভাল হলে, তার প্রভাব পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতেও এই চা উপকারী। শীতের সময় এই চা নিয়মিত খেলে অনেক ধরনের সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
৫) বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামক সহজপাচ্য একটি ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এই বার্লি ভেজানো জল।
কী ভাবে বানাবেন বার্লির চা?
জল দিয়ে বার্লি ধুয়ে আগের দিন রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বার্লি ভেজানো জল ফোটাতে থাকুন। আধ ঘণ্টা পর মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। বার্লি ছেঁকে নিয়ে ওই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা পুদিনা পাতা মেশাতে পারেন। চাইলে মধু বা গুড়ও মেশাতে পারেন। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এই বার্লি বা যব ভেজানো জল খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।