আনারসের গুণেই দূরে চলে যাবে রোগবালাই। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার বাজারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে আলো করে রয়েছে আনারস। বাজার ফিরতি বাঙালির ব্যাগ থেকে উঁকি দিচ্ছে আনারসের পাতা। দুপুরে আয়েশ করে বসে বিট লবণ মাখিয়ে আনারস খাওয়া হচ্ছে। কিংবা আনারস দিয়ে তৈরি হচ্ছে চাটনি। আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ মনখারাপ এক নিমেষে কাটিয়ে দেয়। তবে শুধু মন নয়, শরীরেরও যত্ন নয় আনারস। এই ফলের গুণেই অনেক শারীরিক সমস্যা দূরে চলে যায়। আনারস খাওয়ার উপকারিতাগুলি কী?
হজমের গোলমাল কমে
হজমের সমস্যা বাঙালির রোজের সঙ্গী। পেটের গোলমাল হলেই অ্যান্টাসিডের খোঁজ পড়ে। তবে এই সমস্যা হাতের মুঠোয় রাখতে আনারস কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেইন, যা হজমে সহায়কারী উৎসেচক ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। পেট ফাঁপা এবং অন্যান্য অস্বস্তির দাওয়াই হতে পারে আনারস।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে
আনারসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। প্রদাহজনিত যেকোনও সমস্যা নিরাময়ে আনারস দারুণ কার্যকরী। আনারসে ব্রোমেলাইন থাকায়, প্রদাহনাশক হিসাবে আনারস ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস, সাইনাসের ক্ষেত্রে আনারস খুব উপকারী।
জলশূন্যতা রোধে
শরীরে জলের ঘাটতি কমাতে খেতে পারেন আনারস। এই ফলে জলের পরিমাণ বেশি। আনারস শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম শোষণ করে। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আনারসের ভূমিকা সত্যিই অভাবনীয়।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় আনারস। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে আনারস স্বাস্থ্যকর বিকল্প। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি। সংক্রমণজাতীয় রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে ভিটামিন সি-র জুড়ি মেলা ভার।
হার্ট ভাল রাখতে
আনারস রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে হার্টের যত্ন নেয়। তা ছাড়া ভিটামি সি থাকায় আনারস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও কমায় আনারস।