শরীর ভাল রাখতে অ্যাপ্রিকট খাওয়া কেন জরুরি? ছবি:ফ্রিপিক।
ফলের দোকানে এখন আপেল, আঙুর, কমলালেবুর পাশাপাশি এমন অনেক ফল মেলে যেগুলির সঙ্গে কলকাতাবাসী বছর পাঁচেক আগেও সে ভাবে পরিচিত ছিল না। তবে এখন কিউয়ি থেকে অ্যাভোকাডো, বেরি জাতীয় রকমারি ফল অনেকেই ডায়েটে রাখেন। বাজারে গেলে ইদানীং মেলে কমলা রঙের চ্যাপ্টা শুকনো অ্যাপ্রিকটও। অচেনা বলে ফলটি কোনও দিন খাননি। কিন্তু জানেন কি প্রতি দিন সকালে ২টি শুকনো অ্যাপ্রিকট খেলে কী কী উপকার হবে?
টকমিষ্টি স্বাদের ফলটি এমনিতে দেখতে ছোট ছোট গোল হয়। তবে শুকনোর পর তা হয়ে যায় চ্যাপ্টা। টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। ভিটামিন এ, সি রয়েছে এতে। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসের মতো জরুরি খনিজও এতে মেলে অনেকটাই। আর রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট।
১. অ্যাপ্রিকটে রয়েছে ফাইবার। যা হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রতি দিনের খাবারে ভাল মানের ফাইবার যেন থাকে। সকালবেলাই অ্যাপ্রিকট খেলে ভিটামিন, খনিজের পাশাপাশি ফাইবারও পাবে শরীর।
২. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ ফলটি। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে অত্যন্ত জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন।
৩. এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর করতেও এই ফলটি সহায়ক।
৪. এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য যে সমস্ত ফল খেতে বলা হয়, তার মধ্যে অ্যাপ্রিকটও রয়েছে। মূলত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. সকালের শরীরচর্চা বা হাঁটাহাটিতে হাঁপিয়ে গেলে চট করে দু’টি শুকনো অ্যাপ্রিকট খেতে পারেন। দ্রুত শরীরকে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজেরও জোগান দেবে ফলটি।
৬. অ্যাপ্রিকটে ভরপুর রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই খনিজগুলি হাড় মজবুত রাখতে, হাড়ের ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। শরীরের জন্য ভাল কোনও ফলও বেশি খাওয়া ঠিক নয়। যদি কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে তা হলে, নিয়মিত কোনও ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।