বিছানায় লুকিয়ে সংক্রমণের ভূত। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে অফিস থেকে ফিরেই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করেন। খাবার খেতে যতটুকু সময় লাগে জেগে থাকেন। তার পর এতটুকু সময় নষ্ট না করে সোজা বিছানায় গা এলিয়ে দেন। চুল শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন না। চুলের ক্ষতি হবে ভেবে ড্রায়ারও ব্যবহার করতে পারেন না। তাই বেশির ভাগ দিনই বিছানায় ভিজে চুল ছড়িয়ে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসেই ইতি টানতে বলছেন ঘুমের ব্যাপারে অভিজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিছানার মধ্যে খালিচোখে দেখা যায় না এমন জীবাণু, ব্যাক্টেরিয়া বা ছারপোকার মতো পরজীবীদের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পিছনে এইটিই সবচেয়ে বড় কারণ। শুধু গদির উপরেই নয়, বিছানার মাথার দিকে কাঠের যে ‘হেডবোর্ড’ থাকে, তার উপরেও ভিজে চুল ছড়িয়ে রাখতে বারণ করছেন তাঁরা।
বিছানায় পরজীবীদের দৌরাত্ম্য কেন বাড়ছে, এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গবেষকেরা একটি সমীক্ষা করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ঘুম থেকে ওঠার পর কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রায় রোজ বিছানা পরিষ্কার করলেও ৫৩ শতাংশ মানুষ বিছানার মাথার দিকের ওই ‘হেডবোর্ড’টি মোটেই পরিষ্কার করেন না। যার ফলে জীবাণু, ব্যাক্টেরিয়া বা ছারপোকারা নিশ্চিন্তে সেখানে বংশবিস্তার করতে পারে। মাথার ত্বকে সংক্রমণ রোধ করতে চাইলেও কিন্তু এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। খুব ভাল হয়, যদি ভিজে চুল বিছানা বা ‘হেডবোর্ড’এর উপর না রাখেন। মাথার ত্বকের সংক্রমণ রুখতে নিয়মিত বিছানার চাদর বদলাতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’বার বিছানার গদি, তোক রোদে দিতে হবে। ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারলে আরও ভাল হয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিছানার চাদর, গদি পরিষ্কার করলেও বহু মানুষই বছরের পর বছর ধরে একই বালিশ ব্যবহার করে যান। শীতকাল না এলে বালিশ রোদে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না অনেকেই। তবে, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজ়মা বা অ্যালার্জি জনিত সমস্যা রুখতে প্রতি দু’বছর অন্তর মাথার বালিশ বদলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞরা।