খাবার পর হাঁটবেন, নিয়মকানুন জানা আছে তো? ছবি: সংগৃহীত।
হজম হোক বা অনিদ্রার সমস্যা, পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক সকলেই পরামর্শ দেন বেশি রাত করে না খাওয়ার। একসঙ্গেই খাওয়ার পর খানিক হেঁটে নেওয়া উপদেশও দিয়ে থাকেন তাঁরা। সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেই তথ্য বলছে, দুপুর হোক কিংবা রাত, খাওয়ার পর ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। তা হলেই বশে থাকবে ওজন। কিন্তু খাওয়ার পর হাঁটার আরও কোন নিয়ম ফলপ্রসূ হতে পারে?
খাওয়ার পর বিশ্রাম জরুরি: খাওয়ার পরেই অনেকে হাঁটতে বেরোন। মিনিট ১৫ বা ৩০ কেউ জোরে হাঁটেন কেউ আবার পায়াচারিও করেন। তবে কারও কারও ভরপেট খাওয়ার পরেই হাঁটলে শরীরে অস্বস্তি হয়। পেটেও কষ্ট হয়। আমেরিকার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে ২০১১ সালে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। তাতেই বলা হচ্ছে, খাওয়ার অন্তত ১৫-৩০ মিনিট পর বিশ্রাম নিয়ে হাঁটাহাটি করা ভাল। এই ধরনের কষ্ট এড়াতে একটু জল খেয়ে রয়ে, বশে হাঁটা দরকার।
আরাম করে হাঁটা দরকার: খেয়েই দৌড়াদড়ি নয়। বরং হাঁটা দরকার ধীরস্থির ভাবে। জোরে হাঁটলে খাবার হজমে যেমন সমস্যা হতে পারে তেমনই মনে হতে পারে, তা যেন উপরের দিকে উঠে আসছে। বরং নিজের ছন্দে হাঁটলে খাবার হজমও ভাল ভাবে হবে, শরীরে বাড়তি চাপও পড়বে না।
হাতের ব্যায়াম: খাওয়ার পর হাঁটতে বেরিয়ে অবশ্য হাত টানটান করা বা সহজ ব্যায়াম করাই যায়। হাত মুঠো করে খোলা, এক হাতের আঙুল অন্য হাতে টানা, মুঠো খোলা বন্ধ, কাঁধ ঘোরানো, কব্জি ঘোরানোর মতো সহজ শরীরচর্চা হাঁটতে হাঁটতে সেরে ফেলা যায়।
শ্বাসের ব্যায়াম: হাঁটার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে নজর দিতে পারেন। হাঁটতে হাঁটতেই গভীর ভাবে শ্বাস নেওয়া-ছাড়ার ব্যায়াম করে নিতে পারেন। নাকের সাহায্যে শ্বাস নিতে হবে। তার পর ঠোঁট ফাক করে ধীরে ধীরে তা ছাড়তে হবে। এই ভাবে অভ্যাস করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। হার্টও ভাল থাকবে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, হাঁটতে হাঁটতে শ্বাস প্রশ্বাসে মনোযোগী হলে বা চট করে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে। সাধারণত, যে কোনও শরীরচর্চায় বাড়তি অক্সিজেনের দরকার হয়। কিন্তু শ্বাস নেওয়া-ছাড়ার প্রতি মনোযোগী হলে বাড়তি অক্সিজেনের জোগান সহজ হয়।