চিনি ছাড়া মিষ্টি হতে পারে কফি। ছবি: সংগৃহীত।
কফির কাপে চুমুক না দিলে সকালে ঘুম কাটতে চায় না অনেকেরই। আবার সারা দিনে কাজের ফাঁকে কফি না খেলে কাজেও যেন গতি আসে না। ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দিলেই সারা দিনের ক্লান্তি কেটে যায়। মনও বেশ ফুরফুরে থাকে। কিন্তু কফির সঙ্গে সঙ্গে যে অত্যধিক হারে চিনিও যাচ্ছে শরীরে, সে দিকটা ভেবে দেখা জরুরি। কারণ চিনি ছা়ড়া কফি খেতে পছন্দ করেন না বহু মানুষ। এমনিতে চিনি না খেলেও, কফির ক্ষেত্রে সে সংযম রাখতে পারেন না অনেকেই। কফি একটু মিষ্টি না হলে ভাল লাগে না ঠিকই, তবে কফির মিষ্টত্ব বৃদ্ধি করতে চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প রয়েছে। চিনির বদলে কফিতে আর কী কী মেশাতে পারেন?
মধু
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে কফির স্বাদে মিষ্টির ছোঁয়া আনা ছাড়াও মধু শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। চিনির বদলে কফিতে মিশিয়ে নিন মধু। স্বাদেও একটা পরিবর্তন আসবে।
ম্যাপল সিরাপ
চিনির অন্যতম বিকল্প হল ম্যাপল সিরাপে। স্বাদে তো বটেই, স্বাস্থ্যগুণেও ম্যাপল সিরাপ অনেক এগিয়ে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরের প্রদাহ দূর করে। একই সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। চিনির বদলে কফিতে ম্যাপল সিরাপ মেশাতে পারেন।
কোকোনাট সুগার
নারকেল থেকে তৈরি এই চিনিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে ডায়াবিটিস থাকলে চিনির অন্যতম বিকল্প হল কোকোনাট সুগার। আর এটি খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করলেই কফি মিষ্টি হয়। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে চিনির বদলে কোকোনাট সুগার খেতে পারেন।
তরল স্টেভিয়া
স্টেভিয়া গাছের পাতা থেকে সাধারণত এই তরল তৈরি হয়। সিরাপ জাতীয় এই জিনিস এক থেকে দু ফোঁটা কফিতে মিশিয়ে নিলে চিনির কথা মনেই আসবে না। তা ছাড়া এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং কার্বোহাইড্রেট একেবারে নেই বললেই চলে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। সেই সঙ্গে এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও কার্যকরী।