হাইপোথাইরয়েডজিম থাকলে শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থি পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে না। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল এলেই পুরনো যে সমস্যাগুলি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম থাইরয়েড। এই সময় ক্রনিক সমস্যাগুলি বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। পৃথিবীতে অন্তত ১৫ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে গলায়। যখনই এই গ্রন্থি খুব বেশি পরিমাণে কাজ করে কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করে, তখনই এই রোগ দেখা দেয়।
হাইপোথাইরয়েডজিম থাকলে শরীরের থাইরয়েড গ্রন্থি পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে না। ফলে চুল পড়ে যাওয়া, হৃদ্স্পন্দন কমে যাওয়া, বিপাকহার গোলমালের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। থাইরয়েড বশে রাখার অন্যতম উপায় হল খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা। বিশেষ করে শীতকালে সুস্থ থাকতে ইচ্ছেমতো খাওয়াদাওয়া করা যাবে না। থাইরয়েড থাকলে রোজের খাওয়াদাওয়ায় একটা বদল আনা জরুরি। শীতকালে থাইরয়েড থেকে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
কফি
ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফেইন আরও এড়িয়ে যান। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। বেলা বাড়ার পর আর না খাওয়াই ভাল।
মিষ্টি
যে কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল। চিনির বদলে গুড় বা মধু রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার
চিকিৎসকরা মনে করেন, দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তবে দই হজমের পক্ষে খুবই উপকারী। থাইরয়েড থাকলে দই খাওয়া যাবে কি না, তা এক বার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন।