যে কোনও বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই থাইরয়েড গ্রন্থির যত্ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছবি: সংগৃহীত
থাইরয়েড মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি। গলা এবং ঘাড়ের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত এই গ্রন্থিটি বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে এবং দেহের প্রায় সব ধরনের বিপাক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দিলে গলগন্ড থেকে ক্যানসার, হতে পারে নানা রকম রোগ। যে কোনও বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই থাইরয়েড গ্রন্থির যত্ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রইল এমন কিছু খাদ্যের হদিশ যা থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্যরক্ষায় কাজে আসতে পারে।
১। নারকেল
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারকেল থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী হতে পারে। নারকেলে থাকে ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ এবং ‘মিডিয়াম চেন ট্রাই গ্লিসারাইড’। সরাসরি নারকেল খেলে কিংবা নারকেলের তেল রান্নায় ব্যবহার করলে বিপাকের গতিতে লাগাম টানা যায়। তবে দীর্ঘ দিন একটানা এই স্নেহ পদার্থ শরীরে ঢুকলে তার প্রভাব কিছু ক্ষেত্রে ভাল না-ও হতে পারে।
২। কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজের প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক অন্যান্য খনিজ দ্রব্য ও ভিটামিন শোষণ করতে দেহকে সাহায্য করে। বিভিন্ন থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনে এবং হরমোনগুলির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক।
৩। ব্রাজিল নাট
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং বিপাকে উন্নতি করতে সেলেনিয়াম নামক একটি পদার্থের প্রয়োজন হয়। ব্রাজিল বাদামে প্রচুর পরিমাণে এই সেলেনিয়াম থাকে। দিনে মাত্র তিনটি ব্রাজিল নাট খাওয়াই যথেষ্ট।
৪। আমলকি
আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এমনকি ভিটামিন সি-এর নিরিখে আমলকি হার মানাতে পারে কমলালেবু কিংবা ডালিমের মত ফলকেও। পাশাপাশি আমলকিতেও থাকে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজে আসতে পারে।