শীতকালে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিলেও বছরের যে কোনও সময়েই বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
ক্রমাগত বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের ফলে জন্ম নিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। তার মধ্যে অন্যতম শ্বাসকষ্ট। শীতে এই সমস্যা যেন আরও বেশি করে দেখা দেয়। অল্প পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়তে হয়। ফলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডাও এই রোগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, শ্বাসনালির প্রদাহের কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথগুলি শ্বাসকষ্টের কারণে সরু হয়ে যায় ও ফুলে ওঠে। পাশাপাশি জমতে থাকে মিউকাসও। শীতকালে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিলেও বছরের যে কোনও সময়েই বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সঙ্গে ইনহেলার রাখেন। তবে শীতকালীন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজের পাতে রাখতে হবে কয়েকটি খাবার। সেগুলি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
তুলসী
বায়ুদূষণের ফলে জন্ম নেওয়া শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে তুলসী খুব উপকারী ভূমিকা পালন করে। সর্দিকাশি, মরসুমি ঠান্ডা লাগার মতো ভোগান্তি কমাতে এমনিতেই অনেকে তুলসীর উপর ভরসা রাখেন। শীতকালীন শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি এড়াতে খেতে পারেন তুলসী চা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোজ এই ধরনের পানীয় খেলে শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জলে তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেটি ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। সুফল মিলবে।
আপেল
শরীরের যত্ন নিতে আপেল খুব উপকারী একটি ফল। ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আপেল ওজন কমাতে এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে আপেল।
মটরশুঁটি
ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ফাইবারসমৃদ্ধ সবুজ মটরশুঁটি হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। হাড় শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতেও দারুণ কাজ করে মটরশুঁটি।
পালংশাক
প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার, ফসফরাস, পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ পালংশাক চুল, ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাজ়মার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।