শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের সময়ে খাওয়াদাওয়ায় লাগাম রাখা সম্ভব নয়। কেক, কুকিজ়, পেস্ট্রি তো আছেই। সঙ্গে চিকেন রোস্ট, মটন বিরিয়ানি, হরেক রকম কবাব, শেফার্ড্স পাই, লাজ়ানিয়া— কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন? বড়দিন, নতুন বছর উপলক্ষে নানা জায়গায় নিমন্ত্রণ রয়েছে। তাই বেশ কিছু দিন ধরে মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া বন্ধ রেখেছেন। শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন গেলে না কি অসুখবিসুখ বাড়তে পারে। অস্থিসন্ধির ব্যথাও বেড়ে যায় অনেকের। ইউরিক অ্যাসিডও বাড়তে পারে। সেই ভয়ে প্রাণিজ প্রোটিনের রাশ টানতে চান অনেকে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা, হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের মতো শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। তাই রোজ পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া জরুরি।
প্রোটিন আর কী কী উপকারে লাগে?
১) পেশির ক্ষত নিরাময়ে
শীতে শরীরচর্চা করলে কষ্ট কম হয়। তাই আয়ত্তের বাইরে গিয়েও কসরত করেন অনেকে। প্রশিক্ষকেরা বলেন, এমন অভ্যাসে অনেকেরই পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশির ক্ষত নিরাময় করতে চাইলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ফিটনেস ধরে রাখতে গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে
চোখের সামনে নানা রকম খাবার দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। অন্যান্য খাবারের বদলে বেশি করে প্রোটিন খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উল্টে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
৩) ত্বক এবং চুলের যত্নে
শীতকালে রুক্ষ ত্বক এবং শুষ্ক চুলের সমস্যায় জর্জরিত হন অনেকেই। বাইরে থেকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি, প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা ত্বকে কোলাজেন এবং চুলে কেরাটিন নামক দু’টি প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।