সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা শিশুদের সব ধরনের মরসুমি ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। ছবি- সংগৃহীত
শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে মানেই রোগ জীবাণুও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। শরতের শেষ এবং হেমন্তের শুরুতে হীমও পড়তে শুরু করে। এই সময় কখনও গরম, আবার ভোরের দিকে হঠাৎ ঠান্ডার অনুভূতিতে সাধারণ সর্দি, কাশি, ভাইরাল জ্বর তো লেগেই থাকে। সংক্রমণের নিরিখে করোনা এখন একটু পিছিয়ে পড়লেও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এ সবের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি।
চিকিৎসকদের মতে, মরসুমি সব্জি এবং ফল স্বাভাবিক ভাবেই শিশুদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। এই বয়সে খাবারে পুষ্টিগুণ শোষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ওষুধ নয়, খাবারের উপরই ভরসা করতে পারেন।
প্রতি দিন কোন কোন খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে?
১) মিষ্টি আলু
বাড়ির সব তরকারিতে একটা জিনিস থাকবেই। তা হল আলু। কিন্তু বাচ্চাদের খাবারে এই সাধারণ আলুর পরিবর্তে রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু ব্যবহার করলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই বেড়ে যায়। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন, ফাইবার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২) গুড়
বাচ্চাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। চকোলেট, কৃত্রিম চিনি দেওয়া যে কোনও খাবারই শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক। পরিবর্তে খাবারে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন বি১২, বি৬, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং বিভিন্ন খনিজ সমৃদ্ধ গুড় বাচ্চাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩) আমলকি
ঋতু পরিবর্তনের ফলে যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলি হয়, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে ছোট থেকেই আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শুধু সর্দি-কাশি নয়, বাচ্চাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও তা নির্মূল করে।
৪) খেঁজুর
শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখার সময়টাতে হরমোনের তারতম্য ঘটে। যার ফলে শারীরিক নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে পারে আপনার সন্তান। এই সব সমস্যা দূর করতে ছোট থেকেই খেঁজুর খাওয়াতে পারেন। খেঁজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
৫) ভিটামিন সি জাতীয় ফল
চিকিৎসকরা যদিও শিশুদের সব ধরনের মরসুমি ফল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তবুও তার মধ্যেও প্রতি দিন সাইট্রাস জাতীয় ফল যেন থাকে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ধরনের লেবুতেই যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। এ ছাড়াও স্ট্রবেরি, আঙুর, কিউয়িতেও ভিটামিন সি থাকে।