গরমে ডায়াবেটিকদের জন্য ৫টি ‘সুগার ফ্রি’ পানীয়ের হদিস। ছবি: সংগৃহীত।
সূর্যের চোখরাঙানিতে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। দুপুরে রাস্তায় বেরোনো মানেই ঘেমে একাকার অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরমর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। জলের ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি, শরীরকে ঠান্ডা রাখাও ভীষণ দরকার। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন বিভিন্ন প্রকার পানীয়ে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে মিষ্টিযুক্ত পানীয় খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। বাজারজাত সস্তা-দামি পানীয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ভরপুর মাত্রায় চিনি থাকে। যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। এ ক্ষেত্রে কোন কোন পানীয় খাওয়া যাতে পারে?
১) ডাবের জল: এই পানীয় ইলেকট্রোলাইটের খুব ভাল উৎস। গরমের দিনে নিয়মিত ডাবের জল খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। পেট ঠান্ডা থাকে। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়াও এই জলে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। তাই গ্রীষ্মের দিনে ডায়াবেটিক রোগীরা ডাবের জল খেতে পারেন। শরীর চাঙ্গা থাকবে।
২) বার্লি ভেজানো জল: বার্লিতে অদ্রবণীয় ফাইবার ভাল মাত্রায় থাকে। গরমের দিনে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে বার্লি ভেজানো জল খেতে পারেন। এই জল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) বেলের শরবত: বেলে ফেরোনিয়া গাম নামক একটি বিশেষ যৌগ থাকে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বেলে থাকা বিভিন্ন যৌগ অগ্ন্যাশয়কে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিকরা গরমের সময় নিয়ম করে বেলের শরবত খেতে পারেন।
৪) ঘোল: দই, পুদিনা পাতা, বিট নুন আর ভাজা জিরের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি পাতলা ঘোল কিন্তু ডায়াবেটিকরা নিয়ম করে গরমের দিনে খেতে পারেন। ঘোলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। ঘোল পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
৫) লেবু-আদার শরবত: আদা ডায়াবিটিস রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারী। টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। ডায়াবিটিসের কারণে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। আদা খেলে সেই সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। তাই গরমের দিনে লেবু-আদার শরবত খেতেই পারেন। তবে চিনি ছাড়া।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ডায়াবেটিক রোগীরা ডায়েটে বদল আনার আগে পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।