ছবি: সংগৃহীত।
প্রত্যেক মাসে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার দিন এগিয়ে এলেই বুঝতে পারতেন। মাসিক শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকে এমন কিছু লক্ষণ শরীরে দেখা দিত, তাতেই যা বোঝার বুঝে যেতেন। মেয়েবেলা পেরিয়ে বয়স ৪৫ কি ৫০-এর কাছাকাছি পৌঁছলে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসারই কথা। হরমোনের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে শারীরিক, মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় অনেক মহিলারই। এই সময়ে কেউ একটু বেশিই খিটখিটে হয়ে পড়েন। আবার কারও আচমকা অনেকটা ওজন বেড়ে যায়। সঙ্গে আরও এমন কিছু সমস্যা দেখা যায়, যা আসলে ঋতুবন্ধের পূর্বাভাস।
১) শুষ্ক যৌনাঙ্গ
এই সময়ে ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের হারও কমতে থাকে যে, তার প্রভাবে গোপনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিক ‘লুব্রিকেশন’-এর অভাবে মিলনেও সমস্যা দেখা দেয়। যৌনাঙ্গের দেওয়ালের টিস্যু পাতলা হয়ে গেলে ত্বকে অস্বস্তি, জ্বালা বা চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা যায়।
২) বার বার প্রস্রাব পাওয়া
ইস্ট্রেজেনের পরিমাণ কমতে থাকলে মূত্রথলির কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হলেও ত্যাগ করতে অসুবিধা হয় অনেকেরই। বার বার মূত্রনালির সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। খেয়াল করুন ক্যাফিনজাতীয় খাবার, মদ বা অ্যাসিডজাতীয় খাবার খাওয়ার পর এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে কি না।
৩) স্তনে ব্যথা
ঋতুচক্র শুরু হওয়ার আগে অনেক মেয়েই স্তনে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। স্তনবৃন্তেও ব্যথা হয় অনেকের। এই একই রকম লক্ষণ কিন্তু পাকাপাকি ভাবে ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় এলেও দেখা দিতে পারে।
৪) মন-মেজাজ বিগড়ে যাওয়া
শরীরের পাশাপাশি হরমোনের প্রভাব পড়ে মনের উপর। এই সময়ে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। পরিবার এবং কাছের মানুষদের এই সময়ে বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হয়। মানসিক সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫) ঘুমে ব্যাঘাত
ঋতুবন্ধ হওয়ার সময়ে অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককে। শারীরিক তো বটেই, মানসিক নানা পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে ঘুমের উপর। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম না হলে শারীরবৃত্তীয় নানা রকম কাজে ব্যাঘাত ঘটাও অস্বাভাবিক নয়।