কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন, শরীরের ডিটক্স ডায়েটের প্রয়োজন? ছবি: শাটারস্টক।
দৈনন্দিন জীবনে একই ধরনের কাজ করতে করতে যেমন আমাদের মানসিক ক্লান্তি আসে, তেমনই আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিও প্রতিনিয়ত কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে। তাদের খানিক বিশ্রাম দিতেই পুষ্টিবিদেরা ‘ডিটক্স’ ডায়েটের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিটক্স ডায়েটে মূলত উপবাস ও পানীয়ের উপর থাকতে হয়। শরীরে যে সব টক্সিন মল, মূত্র ও ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে না, সেগুলি এই ডিটক্স ডায়েটের সাহায্যে সহজেই নিষ্কাশন করা সম্ভব! সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিও এই ডায়েট দারুণ উপকারী। মাঝেমধ্যেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই ডায়েট মেনে চলেন।
বর্ষার মরসুমে কখনও রোদ, কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বর্ষার মরসুমে নিত্য দিন পেটের সমস্যা কিংবা গ্যাসের সমস্যা লেগেই রয়েছে। এই সব সমস্যা সরিয়ে শরীর সারিয়ে তুলতে ‘ডিটক্স’ ডায়েট খুব ভাল কাজে দেয়।
তবে জানেন কি, শরীরে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর নিজেই সেই কথা আমাদের জানান দেয়? ভাবছেন কোন লক্ষণগুলি দেখে তা বুঝবেন?
১) হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন।
২) কাজের মাঝে ঝিমিয়ে পড়ছেন? পর্যাপ্ত ঘুমনোর পরেও ক্লান্তি কাটছে না? শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে গেলে এমনটা হতে পারে।
৩) অফিসের কাজে কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছেন না? কিছুই মনে রাখতে পারছেন না? শরীরে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের মন মেজাজ বিগড়ে যায় অনেক সময়। গরম কালে এই সমস্যা বেশি হয়। এ ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়েছে।
৪) টক্সিন পদার্থ শরীরে জমতে থাকলে আপনি ঘন ঘন রোগ ব্যাধিতে ভুগতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ‘ডিটক্স’ ডায়েট শুরু করতে পারেন।
৫) শরীরে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকে সংক্রমণও হতে পারে। পেটের গন্ডগোল, মাথা ব্যথাও হতে পারে শরীরে টক্সিন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে।