আদা চায়ে দারচিনি দিলে কী উপকার হবে? ছবি: সংগৃহীত।
আদা চায়ের অনেক গুণ। শীতের রাতে শরীরে উষ্ণ পরশ পেতে এই পানীয়ে চুমুক দিতেই পারেন। খুসখুসে কাশি থেকে পেটের সাধারণ কিছু গোলমাল— ঘরোয়া টোটকা হিসাবে দারুণ কাজ করে এই পথ্য। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতেও আদা চায়ের জুড়ি নেই। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয়ের সঙ্গে যদি এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায় অনেকটা। স্বাদ আরও উন্নত করতে চাইলে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ এই চায়ে চুমুক দিলে কী উপকার হয়?
১) হজমে সহায়ক:
হজমের গোলমাল হলে ঘন ঘন অ্যান্টাসিড না খেয়ে ঘরোয়া দাওয়াই হিসাবে দারচিনি এবং আদা দিয়ে তৈরি চায়ে চুমুক দিতে পারেন। গ্যাস, পোটফাঁপার মতো সমস্যা বশে রাখতেও এই দু’টি উপাদানের ভূমিকা রয়েছে।
২) প্রদাহনাশক:
দারচিনি এবং আদা, এই দু’টিই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বলে পরিচিত। আদায় রয়েছে জিঞ্জারোল এবং দারচিনিতে রয়েছে সিনামোমাম। আদা এবং দারচিনি দেওয়া চায়ে চুমুক দিলে প্রদাহজনিত নানা ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দূরে রাখতে পারে এই পানীয়টি।
৩) রোগ প্রতিরোধী:
দারচিনি এবং আদা মিশ্রিত চা খেলে সংক্রমণজনিত রোগবালাই সহজে আক্রমণ করতে পারে না। মরসুম বদলের সময়ে ঠান্ডা লাগা, সর্দিকাশির সমস্যা দূরে রাখে।
৪) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ক্লান্তি দূরে রাখার পাশাপাশি স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে এই পানীয়। রাতে খাবার খাওয়ার পর এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে আদা এবং দারচিনি মিশ্রিত পানীয়ে চুমুক দিলে ঘুম হয় নিরবছিন্ন।
৫) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে দারিচিনির ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি আদার ব্যবহার সেই কাজে খানিকটা অনুঘটকের মতো কাজ করে। বিপাকক্রিয়া ভাল রাখতেও আদা এবং দারচিনি দেওয়া চায়ের ভূমিকা রয়েছে।