দোসা খেলে কি ওজন কমবে? ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর আগে কড়া ডায়েট থেকে জিমে গিয়ে ওজন ঝরানো— রোগা হওয়ার চেষ্টায় বাদ যায় না কিছুই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় খাওয়াদাওয়ায়। বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করা থেকে ঘরোয়া খাবারেও রাশ টানা— ডায়েটকে প্রায় উপবাসের পর্যায়ে নিয়ে যান অনেকেই। আর সেই কারণেই ভোজনরসিকদের রোগা হওয়ার স্বপ্ন প্রায় অধরাই থেকে যায়। রোগা হতে হবে মানেই না খেয়ে থাকতে হবে, তার কিন্তু নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। দোসা খেয়েও কিন্তু ওজন ঝরানো সম্ভব।
সকালের জলখাবার নিয়ে অনেকরই অনেক রকম চিন্তা থাকে। বিশেষ করে যাঁরা ওজন ঝরানোর প্রচেষ্টায় আছেন, রোজ সকালে কী খাবেন সেই নিয়ে অনেক ভাবতে হয়। স্বাস্থ্যকর তালিকায় রাখতে পারেন দোসা। জেনে নিন, কেন এই দক্ষিণী পদটি এত স্বাস্থ্যকর।
১) দোসায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ সব পরিমিত মাত্রায় থাকে। প্রাতরাশে সমস্ত খাদ্যগুণের সঠিক ভারসাম্য থাকা ভীষণ জরুরি।
২) দোসার তৈরির জন্য চাল-ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখা হয়। তার পর মিশ্রণটি বেটে নিয়েও বেশ ক্ষাণিক ক্ষণ মজতে দেওয়া হয়। এই গাঁজন প্রক্রিয়ার কারণে এই খাবারটি অন্ত্রে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। হজম ভাল হলে বিপাক হারও বাড়ে।
৩) দোসায় ক্যালরির মাত্রা খুবই কম থাকে। তবে আরও বেশি স্বাস্থ্যকর বানাতে চাইলে দোসায় আলুর পুরটি বাদ দিতে হবে। দোসার মূল উপকরণ চাল তবে চালের বদলে মুগডাল, ওট্স কিংবা কিনুয়া দিয়ে দোসা বানালে কিন্তু ক্যালোরির মাত্রা আরও কমে যায়।
৪) রোগা হওয়ার ডায়েটে যত ফ্যাটজাতীয় খাবার কম রাখবেন ততই ভাল। দোসায় কেবল কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকে, ফ্যাট প্রায় থাকে না বললেই চলে। কোলেস্টেরল ও হার্টের অসুখ থাকলেও ডায়েটে এই খাবারটি রাখতে পারেন।
৫) দোসার গাঁজন প্রক্রিয়াটি এর ভিতরে খনিজ উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এই খাবারটি আয়রন, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভাল উৎস। এই খনিজগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, পেশী ফাংশনকে সমর্থন করে এবং শরীরের মধ্যে তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।