হিমোগ্লোবিন কম? ছবি: সংগৃহীত।
চট করে ঠান্ডা লেগে যায়। সারা ক্ষণ ক্লান্ত বোধ হয়। মাথা ঘোরা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় প্রায়ই। ছোট থেকেই শুনে এসেছেন, রক্তের জোর না থাকলেই নাকি এমন সমস্যা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের লক্ষণ রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে দেখা দিতে পারে। রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন না থাকলে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের কাজটি ব্যাহত হয়। তখন ক্লান্তি ঘিরে ধরে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা বেশি। প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সময় বেশ অনেকটা পরিমাণ রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তখনও শরীরে আয়রনের অভাব হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের অভাবে শারীরবৃত্তীয় নানা জটিল কাজও থমকে যেতে পারে। আয়রনের ঘাটতি কিছু ক্ষেত্রে প্রাণসংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ কিছু সব্জি, ফল খেয়েই কিন্তু রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করে ফেলা যায়।
১) বেদানা
বেদানাতে আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে আয়রন শোষণে এই ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি-এর গুরুত্বও কম নয়। এ ছাড়াও বেদানাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজ। যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে অনুঘটকের কাজ করে।
২) পালং শাক
আয়রনের প্রাকৃতিক ভান্ডার হল পালং শাক। এ ছাড়াও এই শাকের মধ্যে রয়েছে ফোলেট। যা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পালং শাকে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন সি-ও রয়েছে। আয়রন শোষণে সাহায্য করে এই ভিটামিন।
৩) ডিম
প্রাণিজ প্রোটিনের উৎস হল ডিম। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একটি ডিমে ১ মিলিগ্রাম মতো আয়রন থাকে। তা ছাড়া ডিম সহজলভ্য। দামও নাগালের মধ্যেই। তাই চাইলেই রোজ একটি করে ডিম খেতে পারেন।
৪) বিট-গাজর
রোজ খাবার পাতে স্যালাড হিসাবে বিট-গাজর রাখা যেতেই পারে। না হলে এই দু’টি সব্জিকে একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে শুধু রসও খেতে পারেন। এই রসে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস। শরীরে আয়রন শোষণ করতে ভিটামিন সি-র যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৫) খেজুর, কিশমিশ
যদি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে, তা হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০-১২টি কিশমিশ এবং কয়েকটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। রক্তে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারে ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রনে সমৃদ্ধ কিশমিশ এবং খেজুরের যুগলবন্দি।