Parenting Tips

সর্দি-কাশি ছাড়াও বাড়ে নানা রোগের প্রকোপ, বর্ষায় সদ্যোজাতদের সুরক্ষিত রাখবেন কী করে?

বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় জামাকাপ়ড় শুকোতে চায় না। পোশাক ভিজিয়ে না ফেলে, সে ভয়ে শিশুকে সারা ক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখেন বহু অভিভাবক। কিন্তু এ অভ্যাস কি আদৌ ঠিক?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৯
Image of Baby

ছবি: প্রতীকী

গরমে হিটর‌্যাশের থেকে মুক্তি দিলেও বর্ষা কিন্তু নানা রকম রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। বড়দের তো বটেই, এ সময়ে সদ্যোজাতদেরও বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। জলবাহিত এবং মশাবাহিত রোগের প্রকোপ তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পায় বর্ষাকালে। এ ছাড়াও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়া তো আছেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, সংক্রমণ থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গেলে সবচেয়ে আগে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। বাড়িতে সদ্যোজাত শিশু থাকলে সব সময়ে ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। স্যানিটাইজ় করতে পারলে আরও ভাল হয়। শুধু তা-ই নয়, শিশুর বিছানা-বালিশ, পোশাক, নিত্য ব্যবহারের জিনিসের সঙ্গে সব খেলনাও পরিষ্কার করতে পারলে বড়সড় রকমের রোগ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া, আরও তিনটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Advertisement

১) সঠিক ডায়াপার কিনুন

বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বর্ষাকালে বার বার বিছানা ভিজিয়ে ফেলে শিশুরা। ভেজা কাপড় বা ডায়াপার থেকে ঠান্ডা লাগা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও ভিজে ডায়াপার পরে সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বর্ষায় বিছানা ভিজিয়ে ফেলার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সারা ক্ষণ শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখাও কিন্তু কাজের কথা নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে ডায়াপারের ব্যবহার কমানোর। পাশাপাশি, ভেজা কাপড় যাতে বেশি ক্ষণ যাতে ত্বকের সংস্পর্শে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

Image of Baby

ছবি: প্রতীকী

২) মশা যেন না কামড়ায়

বর্ষার জমা জলে মশা বংশবিস্তার করে। তাই মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায় এ সময়ে। শিশুকে মশার কামড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে গা ঢাকা পোশাক পরানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। দিনের বেশির ভাগ সময়েই শিশুকে মশারির ভিতর রাখার নিদানও দিচ্ছেন তাঁরা।

৩) রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা

জ্বর, সর্দি, পেটের রোগ ছাড়াও শিশুদের নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে এ সময়ে। ঘন ঘন শরীর খারাপ হলে আতঙ্কিত না হয়ে কোন রোগের কী লক্ষণ, সে সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement