Benefits of Hugging

আলিঙ্গনেই স্বস্তি! দিনে এক বার স্বামী কিংবা স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরলে কমতে পারে চিকিৎসার খরচ

আলিঙ্গন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪১
আলিঙ্গন কেন জরুরি?

আলিঙ্গন কেন জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

কর্মব্যস্ততার ঠেলায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না। ফলে পরের দিন সকালে একরাশ ক্লান্তি। কাজে ভুল হওয়া। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই।

Advertisement

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার! আলিঙ্গন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। সমীক্ষা বলছে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে, প্রিয়জনকে কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে। এ ছাড়াও আলিঙ্গন আরও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে।

১) আলিঙ্গন দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অফিসের চাপ, সংসারের চাপে সকলেই এখন কমবেশি জর্জরিত, এই চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার ভাল উপায় হতে পারে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’। ভাল ঘুমের জন্য আলিঙ্গনের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

২) হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতেও আলিঙ্গন উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্‌স্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এই অভ্যাস। অনেক সময়েই অকারণে মনখারাপ লাগে, তখন প্রিয়জনের একটি আলিঙ্গন আপনার মন ভাল করে দিতে পারে। মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।

৪) আলিঙ্গন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৫) অনেক সময়ে অজানা কারণেই উদ্বেগ বাড়ে। ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস।

আরও পড়ুন
Advertisement