Oats

Diet: নৈশভোজে ওটস্‌ খান? জানেন কী হতে পারে

ওটস‌্‌ খাওয়ার জন্য কোনও শ্রেষ্ঠ সময় হয় না। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ— যে কোনও সময়ে ওটমিল খাওয়া যায়। তাতে শরীর পায় নানা ধরনের ভিটামিন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১ ১৪:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রাতরাশে ওটস্‌। তার গুণ অঢেল। এ কথা অজানা নয়। কিন্তু সেই ওটস্ যদি রাতে খান? তা হলে কী হতে পারে?

আদৌ কি এমন খাদ্য রাতে খাওয়া ঠিক? পেটের জন্য ভাল তো?

Advertisement

কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা দিনের যে কোনও সময়ে ওটস্‌ খেতে ভালবাসেন। তাতেই আরাম হয় শরীরে। সকালে দইয়ের সঙ্গে ওটস্‌ তো, রাতে আবার ওটস্‌ দিয়ে তৈরি করে ফেলেন খিচুড়ি। এই খাবার অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যে উপকারও হয় অঢেল।

চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, ওটস‌্‌ খাওয়ার জন্য কোনও শ্রেষ্ঠ সময় হয় না। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ— যে কোনও সময়ে ওটমিল খাওয়া যায়। তাতে শরীর পায় নানা ধরনের ভিটামিন। ফলে সচল এবং সুস্থ থাকা সম্ভব।

অর্থাৎ, রাতে ওটস্ খেলে যে কোনও ক্ষতি নেই, তা জানা গেল। কিন্তু বিশেষ কোনও উপকার করে কি এমন নৈশভোজ?

ওটসে থাকে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, নাম ট্রিপটোফান। এর প্রভাব স্নায়ুর উপরে পড়ে। তাতে হাল্কা আচ্ছন্ন ভাব আসে শরীরে। তাই পেট ভরে ওটস্‌ খেয়ে বিশ্রাম নিলে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

‘সাইকোলজি টুডে’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই খাবারের প্রভাবে শরীরে ইনসুলিনও তৈরি হয়। সেই ইনসুলিনের প্রভাবে আবার ট্রিপটোফ্যান পৌঁছয় মস্তিষ্কে। সেখানে গিয়ে তার থেকে সেরোটনিন তৈরি হয়। সেরোটনিন হল সেই পদার্থ যার মাধ্যমে ঘুম, মনের ভাব, ব্যথা-বেদনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

সেরোটনিন শরীররে পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হলে উদ্বেগ-অবসাদ কম থাকে। আর ঘুম ভাল আসে।

ফলে রাতের দিকে ওটস্‌ খেলে নিশ্চিন্ত নিদ্রা লাভ করা যেতেই পারে!

Advertisement
আরও পড়ুন