ব্যস্ততা সামলে শরীরের খেয়াল রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
নিয়মিত শরীরচর্চা করার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিনের ব্যায়ামের অভ্যাসে শুধু যে ওজন কমে তা-ই নয়, ক্রনিক অসুখেরও ঝুঁকি কমে। সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চার অভ্যাস জারি রাখা প্রয়োজন। চাকরি এবং ঘর একসঙ্গে সামলে শরীরচর্চা করার জন্য সময় বার করতে পারেন না অনেকে মহিলাই। সংসার সামলানো সহজ নয়। হেঁশেলের টুকিটাকি থেকে সন্তানের পড়াশোনা, দুই হাতেই দশভুজা হয়ে উঠলেও নিজের শরীরের খেয়াল রাখার ফুরসত পান না। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)’-এর প্রকাশিত সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় একটি নতুন অধ্যায় যোগ হয়েছে। যে মহিলারা শরীরচর্চা করার সুযোগ পান না, তাঁদের জন্য একটি ডায়েট রুটিন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ওজন ৫৫ কেজির মধ্যে হলেই সেই রুটিন মেনে খাওয়াদাওয়া করা যেতে পারে।
কেমন সেই ডায়েট রুটিন?
সকালের খাবার:
সেদ্ধ হোল গ্রেন (৬০ গ্রাম)
সেদ্ধ ছোলা অথবা লোবিয়া (৬০ গ্রাম)
সবুজ শাকসব্জি (৫০ গ্রাম)
বাদাম(২০ গ্রাম)
দুপুরের খাবার:
ডাল (২০ গ্রাম)
সব্জি-তরকারি ( ১৫০ গ্রাম)
দই (১৫০ মিলিলিটার) অথবা পনির
ফল (৫০ গ্রাম)
রাতের খাবারে
ডাল (১৫ গ্রাম)
সব্জির পদ (৫০ গ্রাম)
দই (১০০ মিলিলিটার)
‘আইসিএমআর’-এর বলে দেওয়া ডায়েট রুটিন মেনে চলার পাশাপাশি জোর দিতে হবে অন্য কয়েকটি বিষয়েও। শরীরচর্চা না করে সুস্থ থাকা সহজ নয়। সেই অসাধ্য সাধন করতে হলে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বেশি সতর্ক থাকা জরুরি। আর কী কী নিয়ম মানতে হবে?
১) রোজকার খাবারে শাকসব্জি থাকা বাধ্যতামূলক। ফাইবারের পরিমাণ বেশি, এমন সব্জি খাওয়া জরুরি।
২) পরিমাণে রাশ টানতে হবে। একসঙ্গে অনেক খাবার খেয়ে নেওয়া যাবে না। অল্প করে খাবার বারে বারে খেতে হবে।
৩) খিদে পেলেই কেক, বিস্কুট, চানাচুর খাওয়া যাবে না। বিকল্প হিসাবে বেছে নিতে হবে ইয়োগার্ট, বাদাম।