Holi 2024

রঙের উৎসবে একটু বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন, বাড়তি শর্করার সঙ্গে তাল মেলাবেন কী করে?

কয়েকটা দিন এমন কিছু খাবার খাবেন, যেগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। যেমন— বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ২০:০২
Image of Sweets

মিষ্টি খেতে তো ভালই লাগে, কিন্তু রক্তে চিনি বেশি হলেই তো বিপদ! ছবি: সংগৃহীত।

বেশি মিষ্টি খাওয়া বারণ। যতই হোক দোল উৎসব বলে কথা! একটু ফুটকড়াই আর মঠ না খেলে চলে? ও দিকে আবাসনের দোল উৎসবে ঠান্ডাই, গুজিয়া, মালপোয়া, গুলকন্দ সন্দেশ— সবই খেয়েছেন। এক দিনে এত মিষ্টি খাওয়ার ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। রক্তে শর্করা চড়চড় করে বাড়তে শুরু করেছে। ডায়াবিটিস আছে, তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কী বিপদ হতে পারে, সেই সম্পর্কে ধারণাও রয়েছে। এমন সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে তো ওষুধের ডোজ় এদিক-ওদিক করা যাবে না। তা হলে কী করবেন? কয়েকটা দিন এমন কিছু খাবার খান, যেগুলি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। যেমন— বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ।

Advertisement

ওষুধ যে কাজ করে, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ কি সেই একই কাজ করবে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাদাম বা বীজ রক্তে ইনসুলিনের অভাব পূরণ করতে পারে না। বরং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় খাবার খাওয়ার পর রক্তে যে শর্করা তৈরি হয়, তা উদ্বৃত্ত হতে দেয় না। এই ধরনের খাবারে কার্বহাইড্রেটের পরিমাণ কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের সমতাও বজায় থাকে।

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে কোন বাদাম বা বীজ খাওয়া যেতে পারে?

১) কাজুবাদাম:

কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে ওয়েলিক অ্যাসিড। যা আসলে এক ধরনের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই উপাদানটিই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

২) ফ্ল্যাক্সসিড:

রোজ সকালে এক গ্লাস ফ্ল্যাক্সসিড ভেজানো জল খেতে পারেন। ফ্ল্যাক্সসিডের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রক্তে শর্করার বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই বীজ।

৩) সূর্যমুখী ফুলের বীজ:

এই বীজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, কপার অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন বি, প্রোটিন এবং ফাইবার। যা রক্তে থাকা গ্লুকোজ়কে তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

Image of Nuts and Seeds

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে খেতে হবে বিভিন্ন রকমের বাদাম এবং বীজ। ছবি: সংগৃহীত।

৪) কাঠবাদাম:

খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা গুরুতর। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই প্রবণতা রুখে দিতে পারে কাঠবাদাম। এ ছাড়া ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন, ক্ষরণ যাতে স্বাভাবিক থাকে, সেই বিষয়েও সাহায্য করে কাঠবাদাম।

৫) কুমড়োর বীজ:

ইনসুলিন হরমোনের গতিপ্রকৃতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে কুমড়োর বীজ। এই বীজের মধ্যে রয়েছে আয়রন এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হার্টের পাশাপাশি ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কার্যকর।

আরও পড়ুন
Advertisement