শরীর ফিট রাখতে গেলে এবং ঠিক মতো ওজন ঝরাতে গেলে দু’রকম এক্সারসাইজই মিলিয়ে-মিশিয়ে করা প্রয়োজন। ছবি: শাটারস্টক।
চটজলদি ওজন ঝরাতে অনেকে আবার কার্ডিয়ো ব্যায়ামের দিকেই বেশি ঝোঁকেন। কার্ডিয়ো করলে বেশি ক্যালোরি ঝরে, এমনটাই প্রচলিত ধারণা। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটা, জগিং, দৌড়ানো, স্কিপিং বা ফ্রি-হ্যান্ড কার্ডিয়ো ব্যায়াম বেছে নেন অনেকে। এগুলিকে বেছে নেওয়ার আরও একটি কারণ অবশ্য এগুলি যে কোনও জায়গায় খুব সহজে কোনও সরঞ্জাম ছাড়াই করে ফেলে যায়।
তা হলে মানুষ ওয়েট ট্রেনিং কখন করেন? যখন তাঁদের মনে হয়, আর ওজন ঝরানোর প্রয়োজন নেই। বরং এ বার একটু শরীরের মাংসপেশিগুলি শক্ত করা প্রয়োজন, যাকে বলে ‘মাস্ল মাস’, তখন তাঁরা ওয়েট ট্রেনিংয়ের কথা ভাবেন।
শরীর ফিট রাখতে গেলে এবং ঠিক মতো ওজন ঝরাতে গেলে দু’রকম এক্সারসাইজই মিলিয়ে-মিশিয়ে করা প্রয়োজন। ফিটনেসবিদদের মতে, কার্ডিয়ো যেমন জরুরি, ওয়েট ট্রেনিংও ততটাই জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে। অনেকে ভাবেন,তাঁদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিকঠাক হলেই শরীর ফিট। কিন্তু বিএমআই ইন্ডিকেটর দেখে শুধু ওজন মাপলেই চলবে না। শরীরে ফ্যাটের শতাংশ কত, তা বলে দেবে আপনি কতখানি ফিট। মাস্ল মাস তৈরি করার জন্য আপনাকে ওয়েট ট্রেনিং-ই করতে হবে। শুধু কার্ডিয়ো দিয়ে তা হবে না। সপ্তাহে ক’দিন কার্ডিও করবেন আর ক’দিন ওয়েট ট্রেনিং, তা জানার জন্য ফিটনেসবিদের পরামর্শই নিতে হবে। তিনি আপনার শরীরের গড়ন অনুযায়ী আপনাকে পথ দেখাতে পারবেন।