বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাসে হাতের চামড়া খারাপ হয়ে যাচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলে টিফিন খাওয়ার আগে প্রায়ই হাত ধুতে ভুলে যেতেন। তাই অনেক বার কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। বাড়িতেও বিভিন্ন সময়ে হাত না ধোয়া নিয়ে বকুনি দিয়েছেন বড়রা। সেই অভ্যাস আরও জাঁকিয়ে বসেছিল করোনার সময়ে। হয় স্যানিটাইজ়ার, নয় সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাসে হাতের চামড়া খারাপ হয়ে যাচ্ছিল অনেকেরই। হাতে জল থেকে যাওয়ার কারণে হাজা, এগজ়িমার মতো চর্মরোগ হওয়া স্বাভাবিক। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি-র দেওয়া তথ্য বলছে, শুধু জল নয়। রাসায়নিক দেওয়া সাবান থেকেও হাতে চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হাতে এই ধরনের ঘা হলে তা কি আদৌ সারে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের ঘা পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে প্রাথমিক অবস্থায় কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রদাহ কমানোর ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন বুঝে তা-ও ব্যবহার করা যায়।
হাতে হাজা থাকলে কী ভাবে হাত ধোবেন?
১) হাত ধোয়ার ক্ষেত্রেও মাইল্ড সাবান ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘ দিন ধরে অধিক ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে পরিমাণ ত্বকের ক্ষতি হতেই পারে।
২) হাতের তালু যেমন পরিষ্কার রাখতে হবে। তেমনই নজর দিতে হবে নখের আশপাশের অঞ্চলে। কারণ ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গি ইত্যাদি এই সমস্ত অংশে বাসা বাঁধতেই বেশি ভালবাসে।
৩) হাতের চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই খুব গরম জল ব্যবহার না করাই ভাল।
৪) জল দিয়ে হাত ধোয়ার পর, শুকনো করে মুছে নিতে হবে। হাতে, নখের চারপাশে জল জমতে দেওয়া যাবে না কোনও মতে।
৫) হেঁশেলের কাজ করার সময়ে না চাইলেও বার বার হাত ধুতে হয়। তবে হাত ধোয়ার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখাও জরুরি। তাই হাতের কাছে যদি ময়েশ্চারাইজ়ার ক্রিম না থাকে, সে ক্ষেত্রে কিছুটা সর্ষের তেলই হাতে মেখে নিতে পারেন।